আর কোনো সংসদ সদস্যকে আশ্বাস দিতে হবে না : আলাউদ্দিন নাসিম

ফেনী প্রতিনিধি
প্রতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী, সিলোনিয়া ও কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামকে গ্রাম প্লাবিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, এই দুই উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতি বছর জোয়ার তছনছ করে দেয়। এতে রাস্তাঘাট, কালভার্ড, বাড়ি-ঘর, আসবাবপত্র, ফসলি জমি, পুকুরের মাছ, মাছের ঘের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। প্রতি বছর সরকারের পক্ষ থেকে টেকসই বাঁধের আশ্বাস দেয়া হলেও হচ্ছে না বাস্তবায়ন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, কোনো সংসদ সদস্যকে আর আশ্বাস দিতে হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের মানুষকে আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই এটি একনেকে পাস হবে। সমীক্ষার কাজ শেষ হয়ে গেছে।
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে পরশুরামে একটি জনসভায় ঘোষণা দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। ২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়া এই এলাকার সংসদ সদস্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। তখন কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসেন। তখনও এই এলাকার সংসদ সদস্য খালেদা জিয়া। জনপ্রতিনিধিদের যথাযথ উদ্যোগের কারণে এ প্রকল্পটি হয়নি।

নাসিম বলেন, এবার আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নিজেই দেখভাল করছেন। কয়েকমাসের মধ্যে প্রকল্পটি একনেকে পাস হলেই কাজ শুরু হবে। কাজ শেষ হতে ৩ বছরের মতো লাগবে। তারপর আর কোন সমস্যা থাকবে না।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি জানান, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে সক্ষমতা যাচাই শেষ হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেকে ৮শ’ কোটি টাকার এই প্রকল্প অনুমোদন দিবেন ইনশাআল্লাহ। আশা করছি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পর এই এলাকায় আর পাহাড়ি ঢল থাকবে না।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে ফেনীর দুই উপজেলার বন্যায় হাজারও পরিবার পানিবন্দি এবং রাস্তাঘাট-ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights