করোনা ভাইরাস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন জার্মান গবেষকরা
অনলাইন ডেস্ক
জার্মান গবেষকদের এক নতুন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, করোনা ভাইরাস মানুষের মস্তিষ্কে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। সংক্রমণের পর, বছরের পর বছর ধরে করোনা ভাইরাস মস্তিষ্কের খুলি এবং মেনিনজেস (মস্তিষ্ক আবরণকারী পর্দা) সহ বিভিন্ন অংশে স্থায়ী হতে পারে। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জার্মানির বৃহত্তম বৈজ্ঞানিক সংস্থা হেলমহোল্টজ মিউনিখ ও মিউনিখ শহরে অবস্থিত পাবলিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় লুডভিগ-ম্যাক্সিমিলিয়ানস-ইউনিভার্সিট্যাটের (এলএমইউ) গবেষকরা জানিয়েছেন, SARS-CoV-2 ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন মস্তিষ্কের প্রতিরক্ষামূলক স্তর মেনিনজেস ও মাথার খুলির অস্থিমজ্জায় ৪ বছর পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে। এই প্রোটিনগুলোর উপস্থিতি মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
হেলমহোল্টজ মিউনিখের ইনস্টিটিউট ফর ইন্টেলিজেন্ট বায়োটেকনোলজির পরিচালক অধ্যাপক আলি এরতুর্ক বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি স্নায়বিক প্রভাবের মধ্যে মস্তিষ্কের বার্ধক্য ত্বরান্বিত হওয়া অন্যতম। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। গবেষণায় দীর্ঘ কোভিডের স্নায়বিক লক্ষণগুলিও উঠে এসেছে, যেমন মাথাব্যথা, ঘুমের সমস্যা এবং “মস্তিষ্কের কুয়াশা” বা জ্ঞানগত দুর্বলতা।
এই গবেষণার জন্য গবেষকরা একটি নতুন এআই-চালিত ইমেজিং কৌশল তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে ভাইরাল প্রোটিনের ত্রিমাত্রিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন করা সম্ভব হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগী এবং ইঁদুরের টিস্যু নমুনায় স্পাইক প্রোটিনের উপস্থিতি খুঁজে বের করতে এই বিশেষ কৌশল ব্যবহার করা হয়।
এই গবেষণাটি সম্প্রতি সেল হোস্ট অ্যান্ড মাইক্রোব জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।