ক্লান্ত ইরানিরা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছে, নতুন প্রেসিডেন্টকে সতর্কবার্তা

পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি কট্টর রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ জালিলিকে হারিয়ে এই পদে জয় পান।

এরমধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্টকে সতর্কবার্তা দিলেন ইরানের শীর্ষ সুন্নি আলেম মৌলভী আব্দুলহামিদ।

তিনি বলেছেন, দেশের চলমান নানা ইস্যুতে ইরানিরা ক্লান্ত এবং তারা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন এই সুন্নি আলেম।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে জনগণ সরকারের উপর কতটা বিরক্ত।

দেশটিতে গত ২৮ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৩৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন। প্রথম দফায় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে পারেননি কোনও প্রার্থী। এরপর দ্বিতীয় ধাপে গড়ায় নির্বাচন। যদিও দ্বিতীয় ধাপে ভোটার উপস্থিতি ১০ শতাংশ বেড়েছে, তবে ৫০ শতাংশ ভোট দানে বিরত ছিল।

শীর্ষ এই আলেম বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক চাপে ইরানিরা পিষ্ট। এখানে নিম্নশ্রেণির মানুষেরা নিজেকে এখন ধ্বংসস্তূপের সঙ্গে তুলনা করছেন। তবে তারা ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার দাবিতে অটল থাকবে।

রাজনৈতিক অচলাবস্থা, সুন্নি ও বেলুচ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বের অভাব নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মৌলভী আব্দুলহামিদ।

এদিকে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান একজন স্বল্পপরিচিত মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ। হৃদরোগের চিকিৎসক থেকে তিনি দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহও রয়েছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, মাসুদ পেজেশকিয়ানকে ভোট দেওয়া অধিকাংশ মানুষই শহুরে মধ্যবিত্ত এবং তরুণ। তারা ইসলামপন্থী গোঁড়ামির কারণে ইরানে বহু বছর ধরে চলমান সামাজিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

তবে সাধারণ ইরানিরা মনে করছেন, সংস্কারপন্থী পেজেশকিয়ান চেষ্টা করলেও দেশটির শাসক তাকে বড় ধরনের কোনও পরিবর্তন করতে দেবে না। সূত্র: ইরান ইন্টারন্যাশনাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights