জুমাবার যে সুরা পাঠে আলোকিত হওয়া যায়

আহমাদ মুহাম্মাদ

সুরা কাহফ কোরআনের ১৮তম সুরা। সুরাটি মক্কি তথা হিজরতের আগে অবতীর্ণ হয়েছে। এ সুরায় ১১০টি আয়াত ও ১২টি রুকু আছে। কাহফ শব্দের অর্থ গুহা, গর্ত ইত্যাদি।

এই সুরার নাম ‘সুরাতুল কাহফ’ রাখার কারণ হলো এই সুরায় গুহার অধিবাসী একদল ঈমানদারের বিস্ময়কর কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। এ ঘটনা আল্লাহর অস্তিত্ব ও মহাশক্তির অন্যতম দলিল।
এ সুরা পাঠে আছে বিশেষ ফজিলত। প্রথমত, পাঠকারী কিয়ামতের আগে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্ত থাকবে।

আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে (এবং তা পাঠ করবে) তাকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করা হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৮০৯; আবু দাউদ, হাদিস : ৪৩২৩)
দ্বিতীয়ত, এই সুরা পাঠকারীর জন্য জ্যোতির্ময় আলো হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় আলোকিত করে দেওয়া হবে।’ (সহিহুল জামে, হাদিস : ৬৪৭০)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহফ তিলাওয়াত করল.., কিয়ামতের দিন তার জন্য তার স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলোকিত হয়ে যাবে।’ (সহিহ আত-তারগিব, হাদিস : ১৪৭৩)
সুরা কাহফ জুমার রাত বা জুমার দিনে পড়তে হয়। জুমার রাত শুরু হয় বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবা থেকে এবং শেষ হয় জুমাবারের সূর্য ডোবার মাধ্যমে। অতএব, সুরা কাহফ পড়ার সময় হচ্ছে বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবা থেকে শুরু করে জুমাবারের সূর্য ডোবা পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights