টাঙ্গাইলে চরাঞ্চলসহ ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইল জেলার কয়েকটি উপজেলায় বাড়ি-ঘর, হাট-বাজার, মসজিদ, মন্দির, ফসলি জমিসহ অন্যান্য স্থাপনা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্গম চরাঞ্চলে ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অপরদিকে জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বন্যার্থের পাশে তৎপর রয়েছেন।

সোমবার টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায় ঝিনাই এবং ব্রক্ষপুত্র-যমুনা নদীর পানি সামান্য কমলেও অন্য সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারনে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কোথাও অপরিবর্তিত, আবার কোথাও অবনতি হয়েছে। জেলার কয়েকটি উপজেলাতে বিস্তির্ন জনপদের বাড়ি-ঘর, হাট-বাজার, ফসলী জমিসহ অন্যান্য স্থাপনা এখনও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ব্রক্ষপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও ফটিকজানি নদীর পানি নলচাপা ব্রীজ পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার, এবং মধুপুর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়।

ভুয়াপুর উপজেলার কামাল হোসেন ও রফিক মিয়া জানান, আমরা যমুনা নদী পাড়ের মানুষ। প্রতিবছরই যমুনা নদীর সাথে যুদ্ধ করে চলতে হয়। এবারের বন্যায় আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। বন্যার পানি বাড়িতে ঢোকার সময় ¯্রােতের বেগে আমাদের কারো বাড়ির আঙিনা আংশিক করে ভেঙে গেছে। পাঁচ সাতদিন ধরে পানিতে বন্দি রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, জেলায় ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এতে করে বন্যা কবলিত এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, তেল, চিনি মসলাসহ সাড়ে চৌদ্দ কেজি ওজনের প্যাকেট এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পানির পাত্র বিতরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights