টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্কিত মানুষের নির্ঘুম রাত

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রাতভর বিমান হামলা ও গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে এসেছে। থেমে থেমে চলা শব্দে এপারের মানুষ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।

রাখাইনে বিদ্রোহীদের সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক (জান্তা) বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। রাজ্যটির অনেক এলাকা জান্তার হাতছাড়া হলেও তারা বিমান থেকে হামলা অব্যাহত রেখেছে। জানা গেছে, রবিবার রাত ১২টা থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কিছুক্ষণ পর পর ভারী গোলার শব্দ শোনা যায়। রাখাইনে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় টেকনাফ সীমান্তের এপারের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে আবারও অনুপ্রবেশের ঝুঁকি বেড়েছে।

মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা নিহত : টেকনাফে নাফ নদে কাঁকড়া শিকারে গিয়ে মিয়ানমার জলসীমার অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। গত রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদের ওপারে লালদিয়া চরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. জোবায়ের (১৯) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় বসবাসকারী আবদুল হামিদের ছেলে। আহতরা হলেন, একই এলাকার নুর কামালের ছেলে শাহ আলম (৩০) এবং দমদমিয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার মো. মেস্তরির ছেলে মো. শুক্কুর (২৪)। নৌ-পুলিশের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস স্থানীয়দের বরাতে বলেন, বেলা ১২টার দিকে রোহিঙ্গা যুবক শাহ আলম, মো. জোবায়ের ও মো. শুক্কুর মিলে নাফ নদে কাঁকড়া শিকারে যায়। এক পর্যায়ে তারা নাফ নদের শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের লালদিয়া চর নামক এলাকায় গিয়ে কাঁকড়া শিকার করতে থাকে।

আহত রোহিঙ্গা যুবকরা জানান, কাঁকড়া ধরার এক পর্যায়ে কাদা মাটিতে পুঁতে রাখা কোনো বস্তু বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তারা তিনজনই আহত হন। এ সময় তারা পানিতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমার অভ্যন্তরে পৌঁছান। নৌ-পুলিশের পরিদর্শক বলেন, বিস্ফোরণে মো. জোবায়েরের ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত সম্পূর্ণ উড়ে গেছে। তার বাম পায়ের কিছু স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের লাশ বাড়িতে রয়েছে বলে জানিয়ে নৌপুলিশের এই পরিদর্শক বলেন, এ বিষয়ে টেকনাফ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights