পদ্মবিলায় ৩ ভাইয়ের বিরুদ্ধে পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে রাখার অভিযোগ : সমাধানরে নামে পরকিল্পতি হামলা
যশোরের পল্লীর পদ্মবিলা গ্রামের পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখলে রেখে বছরের পর বছর অপর ভাইকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে ৩ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার ও সম্পত্তির সুষ্ঠ বণ্টনের দাবি তে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন ভুক্তভুগি ভাই আব্দুর রব। তিনি তথ্য মন্ত্রনালয় এর একজন সাবেক পরিদর্শক।
দীর্ঘদিন বিশাল সংসারের সব ভাই বোন ও সব ভাইদের ছেলেদের নানা খরচ টেনেও আজ তিনি অবহেলার শিকার আর সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তার। অভিযোগ থেকে তথ্য মিলছে ২০১৩ সালে মা ও ২০২২ সালে মারা যান আব্দুর রবের বাবা মুজিবুল হক। বাবা মা মারা যাওয়ার পর থেকে বড় ভাই আমানত উল্লাহ, মিজানুর রহমান এ ববং আব্দুল লতিফ ঢাকায় অবস্থান করা ভাই আব্দুর রবকে পৈত্রিক সম্পত্তি বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করেন। আর সব সম্পত্তি জবর দখলে রাখেন। অথচ চাকরি সূত্রে ঢাকায় অবস্থান করা ভাই আব্দুর রব পরিবারে সকলকে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে আর্থিক ও মানবিকভাবে সাহায্য করেছেন। বাবার অবর্তমানে ওয়ারিশকে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব বড় ভাইয়েদের হলেও তারা তা দেননি । বাবা মারা যাওয়ার পর আব্দুর রব ওয়ারিশ সনদ নিয়ে তার অংশ বুঝে নিতে যশোরে গেলেও চার বার ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে ।জমির কাগজপত্র পর্যন্ত বুঝিয়ে দেননি। বড় ভাই আমানত উল্লাহর যখন কোনো আয় ছিলনা তার সংসার এবং ছেলে মেয়েদের ঢাকায় নিয়ে নিজের খরচে লেখাপড়াও করিয়েছেন আব্দুর রব। এখানেই শেষ নয়, আমানত উল্লাহর দুই ছেলে রাজু ও মনিরুল রবের কাছে থেকে আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। আর আসার সময় কাকা আব্দুর রবের কটি সিএনজি বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে আসেন। এরপরও আমানত উল্লাহ্ তার ছেলেরা ও অপর ভাইয়েরা মিলে আব্দুর রবকে মাজিকভাবে এবং আর্থিক ভাবে হেনস্তা করে চলেছেন। সম্প্রতি তাকে মারধোরও করা হয়েছে। উল্লেখ্য আব্দুল রবের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় বাড়ির অংশ বন্টন করে দিতে চাইলে ভাইয়েরা বাড়ি থেকে সরে যায়। এভাবে বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় ১০ থেকে ১২ বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন রব।
কয়েক দফা বিগত চেয়ারম্যানদের ঝাছেও অভিযোগ করেন তিনি। এখন তিনি বর্তমান চেয়ারম্যানের স্মরণাপন্ন হয়েছেন বৈধ বন্টন করে দেয়া দাবি জানিয়ে ।