‘পর্যটক ভ্রমনে বাঁধা নেই সাজেকে’
রাঙামাটি প্রতিনিধি
পর্যটক ভ্রমনে বাঁধা নেই রাঙামাটির সাজেকে। সম্প্রতি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান প্রত্যাহার করেছেন রাঙামাটি জেলায় পর্যটক ভ্রমনে নিরুৎসাহীতকরণ আদেশ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে একইভাবে পর্যটক ভ্রমনে নিরুৎসাহীতকরণ আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকও। তাই টানা ৪৫ দিন পর সচল হচ্ছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালী।
পর্যটক বরণে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঢেলে সাজানো হয়েছে হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলো। তবে আদেশ প্রত্যাহারের প্রথম দিন নেই পর্যটকদের কোন বুকিং।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালী। সাজেক রাঙামাটির একটি অংশ হলেও সড়ক পথে যেতে হয় অপর পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি হয়ে।
এর আগে দূর দুরান্তর পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পর্যটক ভ্রমনের উপর নিরুৎসাহীতকরণ আদেশ জারি করেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক। এপর রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পর্যটক ভ্রমন বন্ধ হয়ে যায়।
তবে স্থানীয় পর্যটক ব্যবসায়ীদের দাবি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গেলো ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটি জেলায় পর্যটক ভ্রমনের নিরুৎসাহীত আদেশ প্রত্যাহার করে নেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু তবুও সাজেকে পর্যটক আগমন বন্ধ ছিল। কারণ খাগড়াছড়িতে নিষেধাজ্ঞা আদেশ বলবৎ ছিল। তবে ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়িতে পর্যটক ভ্রমনে নিরুৎসাহীতকরণ আদেশ তুলে নেয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক।
রাঙামাটি সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ বলেন, দীর্ঘ দিন পর সাজকে আবারও পর্যটক আসতে পারবে। এটা সত্যি আনন্দের। তাই হোটেল কটেজ ও রিসোর্টের মালিক ও ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের বরণে প্রস্তুতি নিয়েছে।
সাজেকে ১১৬টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ এবং ১৪টির বেশি রেস্তোরাঁ রয়েছে। দেড় মাসে তাদের প্রায় ৮-৯ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। পর্যটক এলে লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, পাহাড় এখন শান্ত রয়েছে। তবুও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় প্রশাসন সজাগ রয়েছে। পর্যটক ভ্রমনে আর কোন বাঁধা নেই। সব আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।