প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার, তিন কর্মচারীকে শাস্তি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রসায়ন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের) স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে জাহিদ মোস্তফা নামের এক শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি শহিদুল ইসলাম নামের এক কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসর ও মোহাম্মদ আশ্রাফ আলী নামে আরেক কর্মচারীকে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত আরেক কর্মচারীকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে সে কর্মচারীর নাম জানা যায়নি।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি আজ নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেট সচিব আবু হাসান।

একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য সূত্রে জানা যায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে জাহিদ মোস্তফাকে আজীবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, কর্মচারী শহিদুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক অবসর, আলী আশ্রাফকে সর্টার গ্রেড-৩ থেকে পিয়ন পদে পদাবনতি ও আরেক কর্মচারীকে লিখিতভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে, গত বছরের ১১ জুন রসায়ন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার টপিকস ইন বায়োকেমিস্ট্রি নামে ৪৩৩ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার উত্তরপত্র নিয়ে প্রবেশ করার অভিযোগে খাতা বাতিল করা হয় অভিযুক্ত জাহিদ মোস্তফার। পরে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি আলোচনায় এলে বিভাগ কর্তৃক ১৩ জুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

জানা যায়, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে অভিযুক্তদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া এ ঘটনায় দায়-দায়িত্ব পর্যালোচনাপূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এতে প্রো-ভিসি (শিক্ষা)-কে প্রধান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (আইন) মাহতাব-উজ-জাহিদকে সদস্য সচিব করা হয়েছিল। এছাড়া পূর্বের পরীক্ষা কমিটি বাতিল করে নতুন পরীক্ষা কমিটি গঠন করে স্থগিত বাকি পরীক্ষা নেয়া হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জাহিদ মোস্তফার সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights