‘বন সংরক্ষণ না করলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব না’
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি
বন সংরক্ষণ না করলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা কখনোই সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
তিনি বলেন, ভূমি ধস, পাহাড় ধস, তাপদাহ, ঝর্ণা, ছড়া, খালবিল, নদী নালাসহ ভূগর্ভস্থলে পানির জোগান সবই বৃক্ষ থেকে। বৃক্ষ না থাকলে এসব প্রকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। কিন্তু পাহাড়ের মানুষ এসব বুঝে না। মানুষ বৃক্ষ নিধনের মহোৎসবে মেতেছে। উজাড় হচ্ছে বন জঙ্গল। পাচার হচ্ছে কাঠ। তাই তো বর্ষাতে পাহাড় ধস আর শুষ্ক মৌসুমে তাপদাহ বেড়ে চলেছে।
রবিবার সকাল ১০টায় রাঙামাটি আসামবস্তি কাপ্তাই সড়কে আই লাভ রাঙামাটি’ এলাকায় এক আলোচনা সভায় রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. জাহিদ কালামের সভাপতিত্বে এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙামাটি রিজিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, ডিজিএফআই লে. কর্ণেল মো. আনোয়ার ইসলাম, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান, রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটির সদর জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল এরশাদ হোসেন চৌধূরী, পদাতিক ডেট কমান্ডার এএস ইউ লে. কর্ণেল মো. আল মামুন সুমন, রাঙামাটি বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমান, এনএসআই যুগ্ম পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার আরও বলেন, উল্লেখ্যযোগ্য হারে বৃক্ষ নিধনের ফলে পার্বত্যাঞ্চলে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আর জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বৃক্ষ রোপনের কোনো বিকল্প নেই। একটি বৃক্ষ পারে হাজারো সমস্যার সমাধান দিতে। বিশেষ করে রিজার্ভ ফরেস্টগুলো সংরক্ষণে আরও আন্তরিক হতে হবে বন বিভাগকে। বৃদ্ধি করতে হবে বন প্রহরির সংখ্যা। শুধু পরিবশে বাঁচাতে বন নয়, বনের জীববৈচিত্র রক্ষা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা রাঙামাটি আসামবস্তি কাপ্তাই সংযোগ সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপনে অংশগ্রহণ করেন।