ভারতের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ড অভিশেকের

অনলাইন ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকে রানের খাতা খুলতে না পারা অভিশেক শার্মা ঘুরে দাঁড়ালেন পরের ম্যাচেই। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে উপহার দিলেন চমৎকার এক সেঞ্চুরি। তাতে রেকর্ডের পাতায়ও নাম লেখালেন আইপিএলে ঝড় তোলা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

হারারেতে রবিবার (০৭ জুলাই) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিক ১০০ রানের ইনিংস খেলেন অভিশেক। ৪৭ বলের ইনিংসটি ৮ ছক্কা ও ৭টি চারে সাজান ভারতীয় ওপেনার। আগের ম্যাচে ৪ বল খেলে তিনি শূন্য রানে ফিরেছিলেন ড্রেসিং রুমে।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ইনিংসেই তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পেলেন অভিশেক। ভারতের হয়ে এই সংস্করণে তার চেয়ে দ্রুত শতকের স্বাদ পাননি আর কেউ। নিজের তৃতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন দিপক হুডা। আর লোকেশ রাহুল সেঞ্চুরি করেছিলেন তার চতুর্থ ইনিংসে এসে।
ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান অভিশেক, ২৩ বছর ৩০৭ দিন বছর বয়সে। ২১ বছর ২৭৯ দিনে সেঞ্চুরি করে রেকর্ডটি ইয়াশাসভি জয়সওয়ালের।

গত আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ওপেনিংয়ে নিয়মিত তাণ্ডব চালান অভিশেক। তিন ফিফটিতে ৪৮৪ রান করেন তিনি ২০৪.২১ স্ট্রাইক রেটে। টুর্নামেন্টে অন্তত সাড়ে তিনশ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট তার। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নির্বাচকদের নজর কেড়ে জিম্বাবুয়ে সফরের দলে ডাক পান তিনি। এরপর সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হয়ে যায় তার অভিষেক।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে রানের খাতা খুলতে না পারার আক্ষেপ পরের ম্যাচেই দারুণ ভঙ্গিতে ঘুচিয়ে ফেললেন অভিশেক বিস্ফোরক এক সেঞ্চুরিতে। তার ঝড়ের শুরু ম্যাচের দ্বিতীয় বলে ব্রায়ান বেনেটকে ছক্কায় উড়িয়ে। এই অফ স্পিনারের পরের ওভারে মারেন টানা দুই চার।

এরপর কিছুটা খোলস বন্দী হয়ে যান অভিশেক। প্রথম ২৪ বলে করেন ২৮ রান। সিকান্দার রাজাকে চার ও ছক্কা মেলে ফের ডানা মেলে দেন তিনি। ডিওন মায়ার্সকে টানা পাঁচ বলে মারেন দুই ছক্কা ও তিনটি চার। ওই ওভারেই ৩৩ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি।পঞ্চাশের পর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন অভিশেক। ফিফটি থেকে সেঞ্চুরি ছুঁতে তার লাগে মাত্র ১৩ বল। ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে টানা তিন ছক্কায় শতক স্পর্শ করেন তিনি ৪৬ বলে।

টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি। ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ডটি বিশ্বকাপ জেতা অধিনায়ক রোহিত শার্মার। সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ এই স্বাদ পান ৪৫ বলে। আভিশেকের সমান ৪৬ বলে তিন অঙ্কের কীর্তি আছে রাহুলের। সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পরের বলেই উড়িয়ে মারার চেষ্টায় শর্ট থার্ডম্যানে ধরা পড়েন অভিশেক। থামে তার চমৎকার ইনিংস।

পরে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের অপরাজিত ৭৭ ও রিংকু সিংয়ের অপরাজিত ৪৮ রানে ২ উইকেটে ২৩৪ রান তোলে ভারত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেকোনো দলের হিসেবে যা সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার করা ২ উইকেটে ২২৯।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights