যমুনার চরে কাশবন থেকে ১২ চোরাই গরু উদ্ধার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার যমুনা নদীর চরের এক কাশবন থেকে ১২ টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে ৪টি গরু উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের যাদুরতাইড় এলাকার শফিউর রহমানের বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (৮ জুন) দুপুরে সাঘাটায় থানা চত্তরে এক প্রেসব্রেফিংএ চোরাই গরু উদ্ধারের এ তথ্য জানান গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এরআগে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের দক্ষিণ সাথালিয়া এলাকার বুগারপটল নামক চরে অভিযান চালিয়ে কাঁশবনের ভিতর থেকে এসব চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়।

প্রেসব্রেফিংএ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাঘাটা থানা পুলিশ জানতে পারে উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের দক্ষিণ সাথালিয়া এলাকার বুগারপটল নামক চরে কাঁশবনের ভিতর চোরাই গরু এনে রাখা হয়েছে। এমন সংবাদে ওইদিন দুপুরে সাঘাটা থানা পুলিশের একটি টিম ও স্থানীয় জনসাধারণসহ চরের কাশবনের ভিতর অভিযান পরিচালনা করে। এসময় কাঁশবনের ভিতরে কাশের ছাউনি ছাপড়ার নিচে অজ্ঞাত কতিপয় চোর ও চোরাই গরু দেখতে পায় তারা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাই গুরুগুলো রেখে চোরেরা কাঁশবনের মধ্য দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছোট-বড়সহ ১২ টি চোরাই গরু উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে পেশাদার গরু চোরেরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চরাঞ্চলকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়ে চোরেরা চরাঞ্চলের কাঁশবনের ভিতর চোরাই গরু সংরক্ষন করছিলো। এসব গরু বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করা। এরমধ্যে ৪টি গরু উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের যাদুরতাইড় এলাকার শফিউর রহমান তার নিজের বলে সনাক্ত করেছেন। বাকী ৮টি গরুর মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। উপযুক্ত প্রমানসহ মালিক পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতের মাধ্যমে মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুই জন চোরের নামও সনাক্ত করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এঘটনায় ৪ গরুর মালিক শফিউর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights