শিক্ষা প্রকৌশলীর সামনে ঠিকাদারকে পিস্তল ঠেকিয়ে পেটালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার এক ঠিকাদারকে শিক্ষা প্রকৌশলীর সামনে পিস্তল ঠেকিয়ে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতা কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু।
হামলার শিকার ঠিকাদার মাসুদুল ইসলাম বাবু। সোমবার কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকার শিক্ষা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রিন্টু ও ঠিকাদার মাসুদুল ইসলাম বাবু নগরীর পৃথক দুইটি গ্রুপের নেতা। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরসহ বিভিন্ন অফিসে কাজ করে আসছিল রিন্টু গ্রুপ। পরে সেখানে ভাগ বসায় বাবু গ্রুপের লোকজন। ঠিকাদারি নিয়ে উভয় গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
ঠিকাদার মাসুদুল ইসলাম বাবু বলেন, সোমবার দুপুরে তিনি শিক্ষা প্রকৌশলে কাজের বিষয়ে কথা বলতে শিক্ষা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান। তার পিছু নেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিন্টু ও তার নেতাকর্মীরা। এ সময় ২০-২৫ জনের একটি দল বাবুকে পেছন থেকে ধরে ফেলেন। তারা মাসুদকে শিক্ষা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়েই তাকে বেদম মারধর করেন। একপর্যায়ে কয়েকজন পিস্তল বের করে তার মুখে আঘাত করে। টেন্ডারের জন্য আসলে হত্যার হুমকি দেয়।
বাবু জানান, তারা আমাকে সবাই লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারে। ইয়াছিন, সোহাগ, কালো জালাল আমাকে প্রথম মারা শুরু করে। সবগুলো লাঠি তারা আমাকে মেরেই ভেঙেছে। এ সময় কয়েকজন আমার মুখে পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করে। আমি দিশাহারা হয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে প্রবেশ করি। উনার সামনেই সেখানে আমাকে আবার মারধর করে। কেউ আমাকে বাঁচাতে আসেনি। পরে আমি ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ি। সেখান থেকে কয়েকজন ধরে কুমিল্লার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তারা চায় সিন্ডিকেট করে রাখতে, যেন কেউ কাজ না নিতে পারে। তারা আমাকে মারছিল আর বলছিল, ‘তোর নেতা কই? তোরে বাঁচাইতে আসতে বল। আর টেন্ডারের জন্য আসবি? তোদের বহুত সুযোগ দিছি। আর নাহ। হাত পা ভাঙ। এ সময় সবাই আমার হাত পায়ে আবার মারতে থাকে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টুকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী ইমামকে কল দিলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।