শেষ ধাপেও ভোটার খরা

=”নিজস্ব প্রতিবেদক

শেষ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটারের খরা দেখা গেছে। ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে নির্বাচন কমিশন নানা উদ্যোগ নিলেও কোনো কাজে আসেনি। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছেই না। ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমেছে। উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের চেয়ে শেষ ধাপে আরও ভোটারের উপস্থিতি কমেছে উদ্বেগজনকহারে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৩৬.১০ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপে ৩৭.৫৭ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ৩৬.২৪ শতাংশ এবং গতকাল শেষ ধাপে ভোট পড়েছে ৩৪.৩৩ শতাংশ। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ৩৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, এটা নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে পলিটিক্যাল (রাজনৈতিক) বিচার বিশ্লেষণ করব না।

বিশ্লেষকদের মতে, দলীয় কোন্দল, একটি বড় দলের ভোটে না আসা, প্রার্থীর অজনপ্রিয়তা, শহর এলাকায় শ্রমিকদের অনুপস্থিতি, বৈরী আবহাওয়া, হাওরে ধান কাটার ব্যস্ততার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। কেননা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে যে ভোট পড়েছিল; উপজেলা নির্বাচনে সেই ভোটাররাও কেন্দ্রে আসছেন না। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়ে ছিল। কিন্তু উপজেলায় ভোটারের উপস্থিতি ৩৬-৩৭ শতাংশের ওপরে উঠছে না। এদিকে উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৩৬.২৪ শতাংশ। এর মধ্যে ৯ উপজেলায় ২৫ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। মাঠপর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করে এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন হয়। ইসি কর্মকর্তারা জানান, ৮৭ উপজেলায় মোট ভোটার ছিলেন ২ কোটি ১১ লাখ ৫৪ হাজার ১৮৫ জন। এদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৩ জন। অর্থাৎ ভোট পড়েছে ৩৬.২৪ শতাংশ। এ ধাপে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় ৫৮.৮৩ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে লক্ষ্মীপুর সদরে ১৩.৬৪ শতাংশ। এর আগে ৮ মে ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৬.১০ শতাংশ। ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৭.৫৭ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপে এক উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ৭৪.৯৫ শতাংশ।

দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে গড়ে ভোট পড়েছে ৩৭.৫৭ শতাংশ। ইসির এ ধাপের একীভূত ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য মিলেছে। এ ধাপে সবচেয়ে ভোটের হার বেশি খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায়। এ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৭৪.৯৫ শতাংশ। সব থেকে কম ভোট পড়েছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়। এ উপজেলায় ভোটের হার ১৭.৯৮ শতাংশ। দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার প্রথম ধাপের চেয়ে বেড়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭টি উপজেলায় একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এর মধ্যে দুই উপজেলায় তিনটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় নির্বাচন হলেও তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় ওই তিনটির ফলাফল ইসি থেকে সমন্বয় করা হয়নি। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৩টি উপজেলার চেয়ারম্যান পদের ফলাফল সমন্বয় করা হয়েছিল। এতে দেখা গেছে, ব্যালটে অনুষ্ঠিত ১২৯টি উপজেলায় গড়ে ভোট পড়েছে ৩৮.৪৭ শতাংশ। আর ইভিএমে অনুষ্ঠিত ২৩টি উপজেলায় গড়ে ভোট পড়েছে ৩২.১৭ শতাংশ। ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, ১৫৩টি উপজেলায় ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬২০ ভোটারের মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪৭ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে গড়ে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে ৬১ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে তৃতীয় উপজেলা নির্বাচনে ৬৭.৬৯ শতাংশ ভোট পড়ে। দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলা পরিষদে চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। ৯ জুন স্থগিত উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা আছে। এদিকে উপজেলা নির্বাচন কেন্দ্র করে নানা ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা পাঠিয়েছেন উপজেলা ভোটের গুরুত্বপূর্ণ খবর। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয় মিছিলে গুলি করলে আয়াশ রহমান এজাজ নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। অপরদিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক ছাত্রলীগ নেতাকে সাংবাদিক কার্ড গলায় ঝুলিয়ে কেন্দ্রে ঘুরতে দেখা গেছে। দুমকী উপজেলা নির্বাচনে সংসদ সসদস্যের গাড়ি ব্যবহার করেন হারুন হাওলাদার নামে এক প্রার্থী। বগুড়ায় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। রংপুরে জাল ভোট দেওয়ায় এক যুবককে ছয় মাসের কারাদ দেওয়া হয়। বাগেরহাটে নির্বাচনি সহিংসতায় ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট বই ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চলাকালে ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ৩ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : উপজেলা নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থীর আনন্দ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আয়াশ রহমান এজাজ (২৩) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এজাজ কলেজপাড়া এলাকার আমিন মিয়ার ছেলে। জানা যায়, সন্ধ্যায় শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন বিজয়ী হওয়ার খবর পেয়ে তার সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে পৌঁছলে ছাত্রলীগের কর্মী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আয়াশ রহমান এজাজের মাথায় গুলি করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় এজাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে মিছিলে থাকা তার সহপাঠীরা দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ সময় জেলা সদর হাসপাতাল এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী জমায়েত হন। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের দিকে যায়।

এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি হাসান আল ফারাবী জয়ের সঙ্গে ছাত্রলীগের কর্মী এজাজের পূর্ব বিরোধ ছিল। সকালে ভোট কেন্দ্রে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় বিজয় মিছিল চলাকালে জয় এজাজকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। নিহতের মামাতো ভাই জুনায়েদ চৌধুরী জানান, উপজেলা নির্বাচনে ঘোড়া প্রার্থীর সমর্থক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জালাল উদ্দিন খোকার অনুসারী ছিলেন হাসান আল ফারাবী জয়। বিজয় মিছিল চলাকালে সাবেক ভিপি জালাল উদ্দিন খোকার নেতৃত্বে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে প্রকাশ্যে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় তারা।

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ১০৭ মামলায় ৩ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল জেলার সদর উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা ও নবীনগর উপজেলায় এই জরিমানা আদায় ও সাজা দেওয়া হয়।

অপরদিকে, জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও জালভোটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি ৪০টি কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেন।

কুমিল্লা : নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক ছাত্রলীগ নেতাকে সাংবাদিক কার্ড গলায় ঝুলিয়ে নাঙ্গলকোটের মৌকরা ইউনিয়নের চাঁনগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘুরতে দেখা যায়। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল জলিল। গলায় ঝুলানো কার্ডে লেখা আছে নাম মো. আবদুল জলিল। পত্রিকার নাম দৈনিক প্রতিদিনের চিত্র। সাংবাদিক কার্ড ঝুলিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী নাজমুলা হাসান ভূঁইয়া বাছির। তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ নেতা আবদুল জলিল সাংবাদিক কার্ড গলায় ঝুলিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরছেন। তিনি আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তার করছেন। একই অভিযোগ করেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পালকি প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাপ্পা সোহাগ। তিনি বলেন, এই ছাত্রলীগ নেতা কেন্দ্রে অবস্থান করে আমার ভোটে বাধা দিচ্ছেন। তিনি কখনো সাংবাদিক ছিলেন না। নির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিক কার্ড নিয়ে আধিপত্য বিস্তার করছেন।

পটুয়াখালী (দুমকী) প্রতিনিধি : দুমকী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশীদ হাওলাদার একটি প্রাডো গাড়িতে চড়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন যা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কালো রঙের ঢাকা মেট্রো-ঘ (১৩-৪৩১২) নম্বরের প্রাডো গাড়িটি এর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদারকে ব্যবহার করতে দেখেছেন এলাকাবাসী। বিআরটিএর তথ্যানুযায়ী, গাড়িটি নীলফামারীর সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) এ এ মারুফ সাকলানের নামে রেজিস্ট্রেশন থাকায় সন্দেহ আরও ঘণীভূত হয়েছে। প্রয়াত মারুফ সাকলান ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৪ আসনে মহাজোট থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বগুড়া : জেলার তিন উপজেলায় নির্বাচন চলাকালে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে শেরপুর উপজেলায় ছয়জন, নন্দীগ্রামে নয়জন ও ধুনট উপজেলায় ছয়জন।

রংপুর : জেলার বদরগঞ্জে জাল ভোট দেওয়ায় মোস্তাফিজুর রহমান (৪২) নামে এক যুবককে ছয় মাসের সশ্রম কারাদ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল দুপুরে বদরগঞ্জ উপজেলার বৈরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

বাগেরহাট : জেলার শরণখোলায় নির্বাচনি সহিংসতায় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের শরণখোলা উপজেলা হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে পিছিয়ে যাওয়া এ উপজেলায় আগামী ৯ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আহতরা হচ্ছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনারস প্রতীকের চেয়াম্যান প্রার্থী রায়হান উদ্দিন আকন শান্তর কর্মী টুলু তালুকদার, ইমরান উদ্দিন শুভ, খান মতিয়ার রহমান, আলমগীর শিকদার, ওবায়দুল আকন, ময়নুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়াম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিলনের কর্মী আসাদ কবিরাজ, মাসুম তালুকদার, শাহিন গাজী, মাহাবুব মোল্লা, মেহেদি হাসান, জলিল হাওলাদার। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আসাদ কবিরাজ, ওবায়দুল আকন ও খান মতিয়ার রহমানকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ : ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সেন্টুর সমর্থকরা জোরপূর্বক কেন্দ্রে ঢুকে তিনটি খালি ব্যালট বাক্স ও একটি ব্যালট বই ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ছিনতাইকরা ব্যালট বাক্স ও ব্যালট বইটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্রটি ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়।

খুলনা : রূপসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ঝালকাঠির রাজাপুরে পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।” alt=”” />

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights