সহকর্মীর গুলিতে নিহত কনস্টেবল মনিরুলের বাড়িতে শোকের মাতম

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে পড়েছে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের পরিবেশ। গ্রামের ঈদগাহ মাঠে জানাজায় অংশ নিয়েছেন গ্রামের মানুষ। স্বজনসহ এলাকাবাসীর দাবি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।

সোমবার সকাল ১০টায় স্থানীয় ঈদগা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে ভোর রাতে নিহত মনিরুলের গ্রামের বাড়ি আটপাড়া উপজেলার শ্বরমশিয়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে নিয়ে আসা হয় মরদেহ। সকাল থেকে গ্রামের মানুষ এক নজর দেখতে ভিড় জামায় মনিরুলের বাড়িতে। বাড়ি জুড়ে শোকের মাতম। কান্নায় ভেঙে পড়েছে স্ত্রী ও মা বোনেরা। এমন নির্মমতার বিচার দাবিতে কান্নায় শরিক হয়েছেন এলাকাবাসীও। স্বজনের জানাজায় গ্রামের ঈদগাহ মাঠটি পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
মনিরুল ওই গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুউদ্দিন মাস্টারের তিন ছেলের মাঝে ছোট ছেলে।

স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউসারের দ্রুতবিচার আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
যেন এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সেইসঙ্গে পুলিশ ও সরকার মনিরুলের স্ত্রী ও পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর দাবি স্থানীয়দের। স্ত্রী ত্বন্নি আক্তার বারবার কেঁদে কেঁদে কোলের শিশুর চিন্তায় মুর্ছা যাচ্ছেন।

মা দিলোয়ারা খাতুন ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বলেন, মায়ের বুকে সন্তানের লাশ বড়ই ভারি।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালে পুলিশের কনস্টেবলে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন মনিরুল। দুই বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। এক বছর বয়সী তাহারা হক তাকি নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে মনিরুলের।

এদিকে, পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন আটাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights