আগের চেয়ে ভালো করতে চাই
ক্রীড়া প্রতিবেদক
টি-২০ বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে বাংলাদেশ নামবে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে। স্বাগতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল হয়েছে। শনিবার নিউইয়র্কে নতুন নির্মিত নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ রোহিত শর্মার ভারত। প্রস্তুতি ম্যাচ দুটির আগে বিশ্বকাপের স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের একটি টি-২০ সিরিজ খেলে নাজমুল বাহিনী হেরেছে ১-২ ব্যবধানে। হারের পর নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ট্রল করছেন সমালোচকরা। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল সমালোচনা না করে পরামর্শ দিয়েছেন। সাবেক কোচ পরামর্শ দিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটারদের শারীরিক ও মানসিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন আনার। বর্তমান মার্কিন কোচ যাই বলুন না কেন, টাইগার অধিনায়ক নাজমুল বড় কিছুর স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে নামছেন। বিসিবির ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের ‘গ্রিন-রেড স্টোরি’তে স্বপ্নের কথা বলেন, ‘দল হিসেবে অনেক ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। অনেক ভালো জায়গায় যেতে চাই। আগে আমরা যা কখনো করতে পারিনি, এবার এমন ফলাফল করতে চাই। সবার সেই প্রত্যাশাই থাকবে। সম্ভাবনার কথা আমি ওভাবে বলতেই চাই না। আপনিও চান, বাংলাদেশ দল কাপ জিতুক। ক্রিকেটাররা চায় বাংলাদেশ কাপ জিতুক। অধিনায়ক হিসেবে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, প্রস্তুতি ঠিকমতো নিয়েছি কি না, প্রক্রিয়া ঠিক আছে কি না।’ ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ছাড়াও ২০০৭ সালে সুপার এইটে খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার এইটে খেলেছিল টাইগাররা। এরপর সুপার টুয়েলভ খেললেও ফল ভালো নয়। টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ৩৮টি ম্যাচ খেলে জিতেছে কেবল ৯টি। ৬টি বাছাইপর্বে এবং ৩টি দ্বিতীয় রাউন্ডে। এমন পরিসংখ্যানের পরও বড় স্বপ্ন দেখছেন টাইগার অধিনায়ক। এ ছাড়া ভালো, মন্দ সব সময়ই সমর্থকদের সমর্থন চেয়েছেন, ‘অবশ্যই এটা রোমাঞ্চকর বিষয়, দেশের বাইরে যখন সমর্থকরা সমর্থন করেন। আমাদের জন্য এটা একটা বাড়তি অনুপ্রেরণা। দেশের মানুষ যেভাবে ক্রিকেট অনুসরণ করেন, প্রেরণা জোগান, অবশ্যই এটা দলকে উৎসাহিত করে। আমি চাইব বিশ্বকাপে যে কোনো পরিস্থিতিতে দলের পাশে থাকেন, দলকে সমর্থন করেন।’
নাজমুল এবার প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ খেলছেন না। ২০২২ সালের সর্বশেষ বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে রান করেন দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ১৮০। সব মিলিয়ে ৩৯ ম্যাচে রান ৭৯৬। এবার প্রথম অধিনায়কত্ব করছেন টি-২০ বিশ্বকাপে। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিবের ইনজুরিতে দুটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এবারের বিশ্বকাপে নিজের ব্যক্তিগত চাওয়া নিয়ে বলেন, ‘প্রতিটি ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে। আমরা যখন বড় টুর্নামেন্টে খেলতে যাব, তখন অবশ্যই বড় স্বপ্ন নিয়ে যাই। তবে ‘আউটকাম’ নিয়ে চিন্তা করা আমার খুব পছন্দ নয়। আমাদের প্রস্তুতি ঠিক আছে কি না, যদি ঠিকভাবে কাজগুলো করতে পারি, তাহলে আমার মনে হয় ফলাফল আসবে।’ বিশ্বকাপের বাংলাদেশের ম্যাচ চারটি যথাক্রমে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার ডালাস, ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা নিউইয়র্ক, ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস ও ১৭ জুন নেপাল ম্যাচ সেন্ট ভিনসেন্টে।