আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভেনেজুয়েলানদের তাড়ালেন ট্রাম্প
অনলাইন ডেস্ক
ফেডারেল আদালতের সাময়িক স্থগিতাদেশের পরও দুই শতাধিক ভেনেজুয়েলানকে নিয়ে এল সালভাদরে পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র। সেখানেই তাদের বন্দি করে রাখা হবে। এরা সবাই ভেনেজুয়েলার ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ গ্যাং-এর সদস্য।
আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করেই তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের ২৩৮ জন সদস্য তার দেশে পৌঁছেছে। তাদের সঙ্গে রবিবার সকালে আরও পৌঁছেছে মেক্সিকান গ্যাং এমএস-১৩ এর ২৩ সদস্য।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের বিচারক জেমস বোয়ার্সবার্গ ১৭৯৮ সালের ‘বহিঃশত্রু আইন’ ব্যবহার করে ভেনেজুয়েলার গ্যাং সদস্যদের বের করে দেওয়ার ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পর তাদের এল সালভাদরে পৌঁছার এ খবর এল।
বিচারক ওই স্থগিতাদেশ দেওয়ার সময়ই ভেনেজুয়েলান গ্যাং সদস্যদের নিয়ে বিমান উড্ডয়নের খবর শুনতে পেয়ে বিমানটিকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশও দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ পত্রিকা।
কিন্তু সে নির্দেশ উপেক্ষা করেই বিমান এল সালভাদরে গেল। দেশটির প্রেসিডেন্ট বুকেলে স্যোশাল মিডিয়ায় আরেকটি পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারকের এই নির্দেশ নিয়ে কৌতুক করে লিখেছেন, “ওহ… বড্ড দেরি হয়ে গেছে।”
বুকেলে জানান, ভেনেজুয়েলান গ্যাং সদস্যদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে এল সালভাদরের টেরোরিজম কনফাইনমেন্ট সেন্টারে একবছর বন্দি রাখার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে এই বন্দি রাখার মেয়াদ বাড়ানোও হতে পারে।
“যুক্তরাষ্ট্র এই বন্দিদের জন্য খুবই কম অর্থ দেবে, তবে আমাদের জন্য অনেক বেশি অর্থ দেবে,” বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভেনেজুয়েলান এই অপরাধীদের এল সালভাদরে পৌঁছার খবর নিশ্চিত করেছেন এবং প্রেসিডেন্ট বুকেলের প্রশংসা করেছেন। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স