ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করছে যুক্তরাষ্ট্র
অনলাইন ডেস্ক
গাজায় যুদ্ধবিরতি সফলভাবে কার্যকর হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ থামানো। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়া তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মার্কো রুবিও। তিনি বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের স্থলাভিষিক্ত হন। শপথ গ্রহণের পর এক সংবাদ সম্মেলনে রুবিও বলেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোর মধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এ যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যে একটি খসড়া চুক্তি তৈরির কাজ শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, গত তিন বছরে এ যুদ্ধ ভয়াবহ রক্তপাত ঘটিয়েছে। এটি খুবই জটিল এবং একে এখনই থামানো প্রয়োজন।
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে কী কী ধারা অন্তর্ভুক্ত থাকবে, এমন প্রশ্নের জবাবে রুবিও বলেন, নথিটি এমনভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে যাতে মস্কো এবং কিয়েভ অন্তত কিছু ধারায় একমত হতে পারে। পুরো চুক্তি তৈরি হবে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার ভিত্তিতে।
রুবিও আরও যোগ করেন, যুদ্ধের প্রধান দুই পক্ষ হলো রাশিয়া এবং ইউক্রেন। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও তাদের ওপরই নির্ভর করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা হলো একটি কার্যকর চুক্তি তৈরি করা এবং উভয় পক্ষকে একত্রে আনতে সহায়তা করা।
২০২৪ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শপথ গ্রহণের আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, গাজা এবং ইউক্রেন— উভয় স্থানেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার চেষ্টা করবেন।
ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের এক দিন আগে, ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এখন তার দৃষ্টি ইউক্রেনের দিকে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় রুবিওর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির নথি তৈরির কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে। তবে রুবিও এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করতে অস্বীকৃতি জানান।
তিনি বলেন, আমরা দ্রুত এবং কার্যকর একটি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছি। তবে সময়ের আগে কোনো মন্তব্য করা সঠিক হবে না।
এই যুদ্ধবিরতি উদ্যোগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের এক নতুন দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।