এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুপারবোর্ড কারখানার আগুন, আহত ৭
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া মেঘনা নদীর তীরে সুপার ফর্মিকা এন্ড লমিনেশন (সুপারবোর্ড) নামের একটি কারখানার গোডাউনে আগুন লাগার পাঁচ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ওই কারখানার ৭ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আজ রবিবার দুপুর একটার দিকে উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের সিকিরগাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। আহত সাতজনের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই কারখানাটি প্লাইবোর্ড দিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করে ওই গোডাউনে রেখেছে। আজ দুপুর একটার দিকে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। আগুন মুহূর্তের মধ্যে আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে এতে নদীর তীরে নোঙ্গর করা পাটখড়ি ট্রলারে আগুন লেগে যায়। এর মধ্যে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম অগ্নি নির্বাপনের কাজ শুরু করে। এর সাথে যোগ হয় অগ্নিনির্বাপক রোবট ও কারখানায় নিয়োজিত থাকা ৫ শতাধিক শ্রমিক।
বিষয়টি সম্পর্কে ঢাকা সদর দপ্তরের ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক মো. আবু সালেহ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। প্রথমে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুটি ইউনিট অগ্নি নির্বাপনের কাজ শুরু করে। পরে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে আরো ১০টি ইউনিট অগ্নি নির্বাপনে যোগ দেয়। আরো কয়েকটি ইউনিট পথে আছে। ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় অগ্নি নির্বাপনে সমস্যা হচ্ছে আমাদের। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজিব খান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। আহতদের মধ্যে একজন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোয়িনুর আক্তার জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ১২টি ইউনিট কাজ করছে। এখন আগুন কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে।
এদিকে এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক আবু জাফরের নির্দেশে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে এই কারখানায় আগুন লেগেছিল বলে জানা যায় এবং টানা পাঁচদিন পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এবারও এমনটির আশংকা করা হচ্ছে।