এবার কসম খেয়েছি এই জেলাকে মাদকমুক্ত করব : শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আমি বহুদিন আগে একবার কাবা শরীফে গিয়ে কসম খেয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জের নিষিদ্ধ পল্লী, পতিতা পল্লী উচ্ছেদ করব। এটি খুব সহজ কাজ ছিল না। এর আগে-পেছনে অনেক প্রভাবশালী লোক জড়িত ছিল।’
‘আমি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানালাম। তিনি আমাকে সর্বাত্মক সাহায্য করেছিলেন। এমনকি এই পতিতাপল্লী উচ্ছেদে তিনি আর্থিকভাবে সহায়তা করেছিলেন। পরবর্তীতে আল্লাহর ইচ্ছায় ওই পল্লী উচ্ছেদে আমি সক্ষম হয়েছি। শুধু নিষিদ্ধপল্লী উচ্ছেদ করিনি, সেই পল্লীতে থাকা অনেকেই হজ পালন করে গঠনমূলক জীবন-যাপন করছেন। তাদের পুনর্বাসনও করা হয়েছিল। দুঃখের বিষয় হচ্ছে সেখানে ১১ বছরের শিশুও ছিল হাজারের মতো।’
‘এবার আমি কসম খেয়েছি আরেকটি বিষয় নিয়ে। তা হচ্ছে পবিত্র কাবা আল্লাহর ঘর ও নবীজির রওজা রিয়াদুল জান্নাহ গিয়ে কসম খেয়েছি এই জেলাকে মাদকমুক্ত করব। আমি হাতজোড় করে অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনাদের সহায়তা চাই। আপনারা আমাকে সরাসরি না হয় গোপনে সহায়তা করুন।’
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের আগে ফতুল্লার লাকিবাজার কুতুবপুর কেন্দ্রীয় বাজার মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘কারা মাদকের সাথে জড়িত? মনে রাখবেন মাদকের পেছনেও প্রভাবশালীরা রয়েছে। মাদক বিক্রেতারা ইবলিশ শয়তান। মাদক সেবীরা তো মাদক কিনে খায়। একটি মাদক একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। সমাজের শান্তি নষ্ট করে ফেলে। তাই মাদকের বিরুদ্ধে আমার এই জিহাদে আপনারা আমাকে সহায়তা করুন। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, মাদকের সাথে যদি আমার কোনো লোক জড়িত থাকে আমাকে জানান। আমাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন। গোপনে সহায়তা করুন কঠিন কঠোর দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেব।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ফতুল্লা বার্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির আলম সেন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলাল, যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন সাজনু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল হোসেন প্রমুখ।