কংগ্রেস ও লীগ নেতারা স্বাধীনতার চেয়ে ভাগ বাটোয়ারায় আগ্রহী ছিল বেশি: বদরুদ্দীন উমর
জাবি প্রতিনিধি
কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের নেতারা ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতার চেয়ে ভাগ বাটোয়ারায় বেশি আগ্রহী ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ইতিহাসবিদ ও চিন্তক বদরুদ্দীন উমর।
আজ রবিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত ‘পার্টিশনের ৭৫ বছর: বহুস্বরের সন্ধান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
উমর বলেন, ‘কংগ্রেস ও লীগের নেতারা স্বাধীনতার থেকে ভাগ বাটোয়ারায় বেশি আগ্রহী ছিল। তারা জনগণের সাথে প্রতারণা করে ভারত ভাগ করেছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তাপ ব্রিটিশদের দগ্ধ না করে দগ্ধ করেছিল ভারতবাসীকে।’
এসময় মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘গান্ধীর অহিংস আন্দোলন শুধু ভারতীয়দের জন্য প্রযোজ্য ছিল। আন্দোলন যাতে সহিংস না হয় গান্ধী তা বলতেন, কিন্তু ব্রিটিশদের সহিংসতা তিনি দেখতেন না। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদও করেননি তিনি। ভগত সিংকে যখন ফাঁসি দেয়া হলো তারও প্রতিবাদ করেননি। যেকোনো আন্দোলন, সংগ্রাম, যুদ্ধে সঠিকভাবে শত্রু নির্ণয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারতের স্বাধীনতা ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদ ছাড়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু এই সত্যের উপর দাঁড়িয়ে ভারতের রাজনীতি বিকশিত হয়নি। ব্রিটিশকে যথার্থ শত্রু বিবেচনা না করে তার সাথে আপসের চিন্তা মাথায় রেখে স্বাধীনতা আন্দোলন করার ফলে যা হবার তাই হয়েছিল।’ এসময় তিনি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ব্রিটিশ প্রীতির তীব্র সমালোচনাও করেন।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন কলকাতার ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সভাপতি ড. অনিন্দিতা ঘোষাল।
এসময় অনিন্দিতা বলেন, ‘পাহাড় কিভাবে ভাগ হবে, নদী কিভাবে ভাগ হবে, নাকি হবে না সব আলোচনা হলো। কিন্তু সব থেকে কম আলোচনা হলো মানুষের ব্যাপারে। র্যাডক্লিফ লাইনের রিপোর্ট পড়লে মনে হবে এখানে কোনো মানুষ নেই।