কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
উজানের পানি ও অবিরাম তিন দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে আবারো সবকটি নদনদীর পানি বাড়ছে। বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদসহ অন্যান্য নদ নদীর পানিও বেশ বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে আবারো নদী তীরবর্তী মানুষজন বন্যার আশংকা করছেন। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার আমন চাষীরা। চর ও দ্বীপচরের অনেক নিচু এলাকায় পানি উঠেছে।নতুন করে আমন আবাদ তলিয়ে গেলে কৃষকরা ক্ষতির আশংকা করছেন।
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চরের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম জানান,গত তিনদিন থেকে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে আর উজানের পানি আসছে মনে হয় এবার আবার আমন আবাদ তলিয়ে যেতে পারে। রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ এলাকার কৃষক হরিহর চন্দ্র জানান,তিস্তা নদীর পানি হুহু করে বাড়ছে। আমাদের উজানের পানি আর বৃষ্টির পানি এক হয়ে আমার আমন খেতে পানি চলে আসছে।সদ্য বেড়ে ওঠা আমন আবাদ যদি তলিয়ে থাকে তাহলে আমরা মাঠে মারা যাব।এর আগে আরো দুই বার আমন খেত নষ্ট হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, যদি এধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তাহলে শীতকালীন মরিচ ও চাল কুমড়াসহ বিভিন্ন শাক সবজির ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি রোপন করা আমনেরও ক্ষতি হতে পারে। অপরদিকে,নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদী অববাহিকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।পানি কমে গেলে আবারো ভাঙন বেড়ে যাওয়ার আশংকা নদী পাড়ের মানুষের।
এদিকে,রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় এ জেলায় ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা আগামী দুই একদিন আরো অব্যাহত থাকতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানের পানি ও অব্যাহত ভারি বর্ষণে কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি আবারো বাড়ছে।তবে আতংকিত হওয়ার কারন নেই। কারন পানি অতি দ্রতই নেমে যাবে। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির কোন আশংকা নেই।