কেশবপুরে ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে এক সিজারিয়ানের মৃত্যু
কেশবপুর (যশোর)।। যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতাল বুধবার রাতে সম্পা খাতুন (৩২) নামে এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের পর মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি জানতে পেয়ে বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করাসহ অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করে দেয়।
এবিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ান অপারেশনে মৃত্যু হলেও নবজাতক পুত্র শিশুটি জীবিত আছে নিহত সম্পা খাতুন পাশ্ববর্তী মনিরামপুর উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
উল্লেখ্য গত ১৪/১০/২০২৩ সালে কেশবপুর উপজেলার ২নং সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের গিয়াসউদ্দিন সানার মেয়ে রানু আক্তার প্রসব বেদনা নিয়ে ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়, ডাঃ নাজিয়া নওরীম (জিশান) এর তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি করানো হয়।
অপারেশনের ৪ দিন পরে রানু আক্তার কে রিলিজ দেওয়া হয় চুক্তিভিত্তিক বিলের থেকেও বেশি বিল পরিশোধ করে পরে জানাযায় বাসায় যাওয়ার একদিন পরে পেটে মারাত্মক ব্যথা অনুভব করলে মুঠোফোনের মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা পুনরায় আবার ভর্তি হতে বলে এবং আবারো মোটা অংকের টাকা দাবি করে।
রানু আক্তারের পরিবার ওই হাসপাতালে চিকিৎসা না করে পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন এবং আবারো পরীক্ষা ও অপারেশন করে জানায় প্রথম অপারেশনের সময় পেটের মধ্যে ঝরে পড়া রক্ত জমাট বাঁধার কারনে রানু আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এব্যপারে একাধিকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হলে তারা বিভিন্ন টালবাহানা করে এড়িয়ে যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃত সম্পা খাতুনের বিষয়ে কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানা যায়নি। তবে বিস্তারিত নিউজের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।