গাজার ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যার দাবি ইসরায়েলের

অনলাইন ডেস্ক

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা’লিসকে হত্যার দাবি করেছে দখলদার ইসরায়েল।

মঙ্গলবার ভোরে ওই উপত্যকাজুড়ে ব্যাপক বোমা হামলা চালায় ইহুদিবাদী দখলদার। এদে ইশাম দা’লিস নিহত হন বলে দাবি ইসরায়েলের।

মঙ্গলবার ভোরে গাজার ঘুমন্ত মানুষের ওপর বর্বরোচিত বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু।

এদিকে, গাজায় ইশাম দা’ লিসের পদবী ছিল ‘সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ’ কমিটির প্রধান, যা প্রধানমন্ত্রীর সমপর্যায়ের। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ইসরায়েলের হাতে রৌহি মুশতাহার নিহত হওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হন হামাসের ডি-ফ্যাক্টো প্রাধানমন্ত্রী ইসাম দা’লিস।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ভাষ্য, দা’লিস গাজা উপত্যকায় হামাস শাসনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা এবং সংগঠনটির সব শাখার মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

আইডিএফ ঘোষণা করেছে, হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার ‘ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী’ ও গোষ্ঠীটির আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে তারা।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, ইশাম দা’লিস ছাড়াও গাজার হামাস সরকারের বিচার মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আহমেদ আল-খাত্তা, উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াফাহ ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান বাহজাত আবু সুলতান নিহত হয়েছেন। উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মাহমুদ আবু ওয়াফাহ হামাস সরকারের পুলিশ ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করতেন।

এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, বিস্তৃত অভিযানের অংশ হিসেবে তারা মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকার কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। সেসময় তারা হামাসের ওই চার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ‘টার্গেট করে’ হত্যা করেছে।

ইসরায়েল বলছে, এই হামলার লক্ষ্য হলো হামাসের সামরিক ও সরকারি সক্ষমতাকে আঘাত করা এবং ইসরায়েল ও এর নাগরিকদের জন্য হুমকি দূর করা। এমনকি, দখলদার দেশটি হুমকি দিয়ে আরও বলেছে, যদি তাদের জিম্মিদের হামাস ছেড়ে না দেয়, তাহলে গাজায় এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, জেরুজালেম পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights