গুচ্ছ নিয়ে ইউজিসির মন্তব্য সাংঘর্ষিক, দাবি জবি শিক্ষক সমিতির

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গুচ্ছে না থাকার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৫ এর ৪০ নম্বর ধারার সাথে সাংঘর্ষিক হবে বলে দাবি করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা জানান সমিতির প্রতিনিধিরা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গত ১৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা এখনো অটুট আছে। একাডেমিক কাউন্সিলে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা খুব শিগগিরই সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ড. লুৎফর রহমান বলেন, কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়া তাড়াহুড়া করে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নানাবিধ শঙ্কার কারণে যেতে রাজি ছিল না। কিন্তু তৎকালীন প্রশাসন শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে জোর করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ঠেলে দেয়। পরে দেখা যায়, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধের বদলে হয়রানি আরও বহুগুণ বেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, গুচ্ছের মতো একটি অদূরদর্শী প্রক্রিয়ার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্তির ফলে বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থানকে অবনমন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের ভেতরে এবং কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের বাইরে এটা একটা বৈষম্য নীতিও বটে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০০৫ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে একাডেমিক কাউন্সিল সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এ আইনের ৪০ নং ধারায় বলা আছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠ্যক্রমে ছাত্রভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃত নিজস্ব ভর্তি কমিটিকর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হবে।’

শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যারাই ভঙ্গ করবে তাদেরই সেই দায়ভার নিতে হবে। মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি যদি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে আইনের ব্যত্যয় করে, তাহলে তার দায়ভার তাদেরকেই নিতে হবে। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে নেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা। এরপরও যদি এ আইনের ব্যত্যয় ঘটে তাহলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় যে সিদ্ধান্ত হবে সেটিই বাস্তবায়ন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights