চট্টগ্রামে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড়

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে মাঘের শুরুতে কনকনে শীতে নাকাল জীবন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও তাতে কোন তেজ নেই। যার কারণে শীত থেকে রেহাই পেতে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা। ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে এখন শপিংমলে বেড়েছে গরম কাপড় বেচা-কেনার ধুম। বিশেষ করে নগরীর নিউ মার্কেট ও জহুর হকার মার্কেটের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন ব্যস্ততা বেড়েছে বিক্রেতাদের।

সরেজমিনে নগরের নিউমার্কেট, আমতল, জহুর হকার মার্কেট, বহদ্দারহাট, চকবাজার, দুই নম্বর গেইট, মুরাদপুর, জিইসি মোড়, ইপিজেড এলাকার ফুটপাত ও শপিংমলগুলোতে গরম কাপড় কেনার চাহিদা বেড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা ভিড় জমাচ্ছে ফুটপাতের দোকান গুলোতে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে জমজমাট বেচাকেনা। অনান্য বছরের তুলনায় এ বছর শীতের তাপমাত্রা বেশি, যার কারণে এ বছর শীতের কাপড়ের চাহিদাও বেড়েছে। যার কারণে ক্রেতাদের আনাগোনায় বেজায় খুশি বিক্রেতারাও।

বিক্রেতারা জানান, এবার শীত বেশি পড়ার কারণে ক্রেতাও বেশি। অন্য বছর শীত তেমন ছিল না, যার কারণে শীতের কাপড় বিক্রি তেমন হতো না। যার কারণে শীত বাড়ার সাথে সাথে জ্যাকেট, সোয়েটার, চাদর, কোর্ট, মাফলার, হাতমোজা, পায়ের মোজা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও শিশুদের জন্য ক্রেতারা কাপড় ক্রয় করছেন। শপিংমলের চেয়ে আমমাদের এখানে কম মূল্যে নতুন কাপড় পাওয়া যায়, যার কারণে সবশ্রেণীর মানুষ এখানে আসে। এছাড়া হাত মোজা, কানটুপি ও ছোটখাট শীতের পোশাক মিলছে ১০০ টাকার ভেতরেই। অফিস-আদালতে কাজ-কর্ম সেরে বিকেলে নগরের নিউমার্কেট, হকার মার্কেট, ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানে শীতের পোশাক কিনতে আসছেন অনেকেই। নিম্ন আয়ের মানুষরা জানান, বড় শপিংমল ও শোরুমে সুন্দর কাপড় থাকলেও দাম তাদের সামর্থ্যের বাইরে। এজন্য তারা ফুটপাতের দোকানে আসছেন। এখানে পুরাতন কাপড় কম দামে পাওয়ায় যায়।
নগরের নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, গত সপআত থেকে শীত বেশি পড়ায় ক্রেতারা আগেভাগেই গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন। বড়দের কাপড়ের পাশাপাশি শিশুদের কাপড়ও বেশ বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে ছুটির দিনে বেশি ভিড় হয়। এছাড়াও প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে শীতের কাপড়।

জ্যাকেট কিনতে আসা পোশাক শ্রমিক নুরুল আলম বলেন, শীতে সকাল বেলায় অফিসে যেতে হয়, এ সময় প্রচণ্ড ঠাণ্ডা লাগে। গত বছর ঠাণ্ডা কম থাকার কারণে পুরনো শীতের কাপড় দিয়ে সেরে ফেলছি। এবার শীত বেশি আর মানছে না। যার কারণে বাধ্য হয়ে আরেকটা মোটা কাপড়ের কিনতে এসেছি। ভাবছিলাম ২০০ থেকে ২৫০ মধ্যে একটা জ্যাকেট কিনবো। এসে দেখি দাম বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights