ধরা পড়েনি পালানো ওসি, ‘সম্ভবত’ ইন্ডিয়া চলে গেছে : ডিএমপি কমিশনার

অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, সাবেক ওসি শাহ আলমকে পুলিশ ছেড়ে দেয়নি। ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাকে যদি পুলিশ ছাড়বেই তবে কুষ্টিয়াতেই ছেড়ে দিত। ঢাকায় আনার পর না। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলাজনিত কারণে সংশ্লিষ্ট দু’জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় একটি মামলায় উত্তরা পূর্ব থানার ওসি শাহ আলমকে গ্রেফতার করে। গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছিল। এরমধ্যেই গত ৯ জানুয়ারি সকালেই তিনি উত্তরা পূর্ব থানার ওসির কক্ষ থেকে পালান শাহ আলম।

অভিযোগ উঠে, হত্যা মামলার আসামি শাহ আলমকে গ্রেফতার করে হাজতখানায় না রেখে ওসির কক্ষে রাখা হয়। পুলিশ সদস্যের অবহেলায় তিনি পালাতে সক্ষম হয়। এরপর পলাতক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের সব কয়টি ইউনিট কাজ শুরু করে। সাবেক ওসি শাহ আলমকে পুনরায় গ্রেফতারে সারাদেশে রেড এলার্ট জারি করেছে পুলিশ। তবে সর্বশেষ আজ ২১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুর পর্যন্ত ধরা যায়নি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাবেক ওসিকে আমরা কুষ্টিয়া থেকে ধরে এনেছিলাম। পালানোর পর প্রশ্ন উঠেছে যে, পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমরা ছেড়ে দেবার জন্য তো ধরিনি। যদি ছেড়েই দিবো তাহলে কুষ্টিয়া থেকে ধরে আনার দরকার ছিল না। সেখানেই তো ছেড়ে দিতে পারতো পুলিশ। বাস্তব কথা হচ্ছে যে, একটু সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিল পুলিশ সদস্যরা। হাজতখানায় না ঢুকিয়ে একজন পুলিশ অফিসারের রুমে রাখা হয়। হাজতে থাকলে হয়তো পালাতে পারতো না। একজন সাব ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। সেখানে সে হয়তো কেয়ারলেস হয়েছিল, এর ফাঁকে সেই সাবেক ওসি পালিয়ে গেছে।

কমিশনার বলেন, আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করছি। তবে আমার ধারণা সে হয়তো এদেশে আর নেই, ইন্ডিয়া বা অন্য কোথাও পালিয়ে গেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি উমর ফারুক আল হাদী, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্, যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ লাবু, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক জসীম উদ্দীন, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মিজান, নির্বাহী সদস্য জিয়া খান, ইমরান রহমান, মোহাম্মদ জাকারিয়া উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights