নেত্রকোনা শহরে অটোর রাজত্ব
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
দিনের শুররু থেকে শেষ অব্দি কোথায় কখন জ্যামে পড়তে হয়, তা বলা মুশকিল। মাত্র তিন কিলোমিটারের শহরে এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে যেতে হয়। প্রতিদিন সকালে অফিস এবং স্কুল কলেজগামী মানুষের পড়তে হয় বেশি বিড়ম্বনায়। আর এই বিড়ম্বনার মূল কারণই হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক। শহরের পুরো সড়কজুড়ে তাদের রাজত্ব। এর উপর রয়েছে মর্টার চালিত রিকশা বা মিশুক।
শহরের মোক্তারপাড়া, শহীদ মিনার মোড়, মালনি রোডের চক বাজার মোড়, তেরিবাজার, আখরার মোড়, থানার মোড়, কালিবাড়ি মোড়, মগড়া ব্রিজের মোড়, কুড়পাড়, পুলিশ লাইন থেকে রাজুর বাজার কবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের সামনে পর্যন্ত যখন যেখানে খুশি জ্যাম লেগে থাকে।
এ ছাড়াও মোক্তারপাড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়, আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়গুলো কাছাকাছি অবস্থানে হওয়ায় ছুটির সময় অটোরিকশার জ্যামের জন্য হেঁটেও চলাচল করতে পারেন না শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ পথচারী সাধারণ মানুষ। তার উপর রয়েছে কাঁচা বাজার থেকে বিভিন্ন দোকানসহ হকারদের দখলে দুই পাশের সড়ক। কতগুলো অটো রিকশা বা ইজিবাইক চলাচল করে এর হিসাব দিতে পারে না কেউ।
অ্যাডভোকেট দিলুয়ারা বেগম বলেন, শহরে মানুষের চেয়ে অটোরিকশার সংখ্যা বেশি। যে কোনো অসুস্থ রোগী নিয়ে মানুষ বিপাকে পড়েন। যত্রতত্র অটোরিকশা চলে। তখন জ্যামে পড়ে রোগী আরও রোগী হয়ে ওঠে। সময় মতো কোথাও পৌঁছার সুযোগ নাই। ফুটপাতগুলো দোকানিরা বন্ধ করে রেখেছে। আমাদের সাধারণ মানুষের চলার উপায় নেই।
শিক্ষক মো. হাজী করুনি জানান, পাঁচ মিনিটের সড়কে কমপক্ষে আধাঘণ্টা সময় লাগে প্রতিনিয়ত। এ ছাড়াও সর্বোচ্চ এক দেড় ঘণ্টা তো আছেই।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান জানান, অটোরিকশা লাইসেন্স দিয়েছি মাত্র ২২৩১টির। তার মধ্যে একদিন চলবে ১১১৫টি, অন্যদিন চলবে ১১১৬টি। এভাবে শিফট করে দিয়েছি।