পাল্টা পদক্ষেপ, ওইসব দেশের কাছে তেলই বিক্রি করবে না রাশিয়া!

ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার অর্থনীতির রাশ টেনে ধরতে দেশটির তেল বিক্রির দাম বেঁধে দিয়েছিল পশ্চিমারা। তারা ব্যারেলপ্রতি রুশ তেলের সর্বোচ্চ দাম ৬০ ডলার বেঁধে দিয়েছিল।

এবার এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বড় পদক্ষেপ নিল রাশিয়া। পশ্চিমাদের বেঁধে দেওয়া দাম মেনে নেওয়া দেশ ও কোম্পানিগুলোর কাছে তেল বিক্রি না করার আদেশ জারি করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই সব দেশের কাছে অপরিশোধিত তেল ও তেলজাতীয় পণ্য রফতানি নিষিদ্ধ করেছে মস্কো।
তবে প্রেসিডেনশিয়াল আদেশে বলা হয়েছে, পুতিনের ‘বিশেষ সিদ্ধান্তে’ নির্দিষ্ট দেশের ক্ষেত্রে তেল বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে।

রাশিয়ার সমুদ্রপথে রফতানি হওয়া তেলের ব্যারেলপ্রতি সর্বোচ্চ দাম ৬০ ডলার বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-৭, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া চলতি মাসে একমত হয়। এই সিদ্ধান্ত ৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।

রাশিয়া যাতে তৃতীয় কোনও দেশের কাছে উচ্চমূল্যে তেল বিক্রির মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পাশ কাটাতে না পারে, সেজন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমারা। সেই সঙ্গে বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি মুনাফা যাতে সীমিত রাখা যায়।

তবে মস্কো বলেছে, তেলের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের চলমান সামরিক অভিযানে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেনশিয়াল আদেশের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে মনে করেন তেল-গ্যাসবিষয়ক বিশ্লেষক ভিয়েচেস্লাভ মিশচেঙ্কো। তিনি বলেন, “বাজারে ইতিমধ্যে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে গেছে। আমি মনে করি, এটি প্রেসিডেনশিয়াল আদেশের সরাসরি প্রভাব।”

যেহেতু সৌদি আরবের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তেল রফতানিকারক দেশ রাশিয়া, সুতরাং দেশটির তেল বিক্রিতে বড় ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights