প্রাকৃতিক সম্পদ ও পুনর্গঠনের চুক্তিতে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন
অনলাইন ডেস্ক
প্রাকৃতিক সম্পদ ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত একটি চুক্তির শর্তাবলীতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন। এমনটি জানিয়েছেন একজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, ইউক্রেনীয় ওই কর্মকর্তা জানান, যেসব বিষয় গ্রহণযোগ্য ছিল না, সেগুলো চুক্তির খসড়া থেকে বাদ দেয়া হয়েছে এবং এখন আরও পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই চুক্তি কীভাবে ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও শান্তিতে অবদান রাখবে।
তবে, যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেনি যে চুক্তির শর্তাবলী চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে কিনা। তবে আশা করা হচ্ছে যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওয়াশিংটনে সফর করবেন।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি শুক্রবার আসছেন। অবশ্যই, যদি তিনি আসতে চান, তাহলে আমার আপত্তি নেই, এবং তিনি এটি আমার সঙ্গে একসঙ্গে সই করতে চান। আমি বুঝতে পারছি এটি একটি বড় বিষয়, খুবই বড় বিষয়।’
এই খবরে জানা গেছে যে ইউক্রেনের একজন সূত্র সোমবার সিএনএনকে জানিয়েছিল, ইউক্রেন একটি চুক্তিতে সম্মত হতে প্রস্তুত, যেখানে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রবেশাধিকার দেয়া হবে, যার বিনিময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের জন্য একটি পুনর্গঠন তহবিলে অংশ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্রটি জানিয়েছে, খসড়ায় নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিল মার্কিন পক্ষ।
সিএনএন সোমবার জানায়, আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক ইউক্রেনীয় সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক সম্পদ সংক্রান্ত চুক্তির কিছু জটিল বিষয় পরবর্তী আলোচনায় নিষ্পত্তি করা হবে। দুই দেশের প্রেসিডেন্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বিষয়টি সরাসরি বৈঠকে আলোচনা করতে পারেন।
চুক্তির আগের খসড়ায় ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের বিরল খনিজ ও অন্যান্য খনিজ সম্পদের ৫০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অংশ পাবে, যা কিয়েভকে এর আগে দেয়া মার্কিন সহায়তার বিনিময়ে প্রদান করতে হবে। তবে জেলেনস্কি এই শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সূত্র: সিএনএন