ফরিদপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা
ফরিদপুরে রাতের আঁধারে “ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ” এর শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ওই দুর্বৃত্তদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে কলেজটির তিনজন শিক্ষার্থী আহত হন।
রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা শহরে অবস্থিত কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, অনুজিৎ দত্ত (২২) ও পার্থ অধিকারী (২১) ও মো. রাশেদুল (২৪)। তাঁরা সবাই কলেজটির বিভিন্ন সেমিস্টারে পড়ালেখা করেন বলে জানা গেছে।
কলেজটির শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের কয়েকটি সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছে। তাইতো তারা রাত জেগে পড়ালেখা করেন।
তারা বলেন, রাতে কলেজটির দুইজন শিক্ষার্থী খাবার খেতে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হলে তারা কেন কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়েছেন; কার অনুমতি নিয়েছেন বিষয়টি দুর্বৃত্তরা জানতে চান। এসময় তাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে আসেন। এসময় তাদের ওপর আক্রমণ করে ওই দুর্বৃত্তরা। এসময় কলেজটির তিনজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে কলেজটির শিক্ষার্থীরা আজিজুল হক হামিম (১৭) নামের এক দুর্বৃত্তকে আটক করে পুলিশে দেন। তবে, ওই দুর্বৃত্তরা নেশাখোর ও বখাটে বলে দাবি কলেজটির শিক্ষার্থীদের।
এদিকে, এঘটনার পর থেকে কলেজটির ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকলে, শিক্ষকদের একদল প্রতিনিধি তাদের শান্ত করে নিজ নিজ রুমে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে কলেজটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান রায়হান খান অপু বলেন, “আমাদের কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের দুইজন শিক্ষার্থী রাতের খাবার খেতে যাওয়ার সময় দুইজন দুর্বৃত্ত তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করে এবং তাদের কাছ থেকে মানিব্যাগ ছিনতাই করে। পরে, আহত দুইজন শিক্ষার্থী দৌঁড়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করে। শিক্ষার্থীরা পালিয়ে আসলেও দুর্বৃত্তরা ক্যাম্পাসের গেটে এসে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ক্যাম্পাসের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা দুর্বৃত্তদের ধাওয়া দিলে দুর্বৃত্তরা গেটের সামনে থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।”
এদিকে কলেজটির কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, “আমাদের কলেজের দ্বিতীয় মেইন গেট ও মেইন রোডে পর্যাপ্ত আলো না থাকার কারণে অধিকাংশ সময় মাদক সেবীদের অন্ধকার স্থানে মাদক গ্রহণ করতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।