ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল
দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের হট্টগোল হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর-সংলগ্ন রাবেয়া কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা নবীউল ইসলামের সভাপতিত্বে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, সকালে সভাকে ঘিরে দলটির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন।
বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম (মতি), জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোকাররম হোসেন, সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান বাবু, সহ-সভাপতি মাহবুব আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান বাদশা ও আমিনুল ইসলাম মুন্না প্রমুখ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহাজুল ইসলাম।
সভা শেষে উপজেলা বিএনপির নির্যাতিত এবং মামলার শিকার ২১ নেতাকর্মীকে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ সংবর্ধনা প্রদান করেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক।
বিএনপির নেতা-কর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলায় বিএনপির দুটি পক্ষ আছে। একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম (মতি)। অপরপক্ষের নেতৃত্বে আছেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাজুল ইসলাম। বর্ধিত সভাকে ঘিরে সকাল থেকে উপজেলা চত্বর ও শহরের নিমতলা মোড় এলাকায় নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুরশিদ আলমের পক্ষের নেতা-কর্মীরা নিমতলা মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে বর্ধিত সভাস্থলে আসেন। আগে থেকেই সভাস্থলে ছিলেন শাহাজুল ইসলামের পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এসময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এতে কথা-কাটাকাটি থেকে হট্টগোল তৈরি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় একপক্ষের সমর্থকদের হাতে থাকা বিএনপি নেতাদের ছবি সংবলিত ফেস্টুনগুলো অপরপক্ষের সমর্থকরা ভাঙচুর করে পানিতে ফেলে দেয়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টহলদল ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, দীর্ঘসময় পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে অনেক কষ্ট ও ক্ষোভ জমা আছে। এ সভাকে কেন্দ্র করে একটু হইহুল্লোড় হয়েছে। তবে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।