বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র জমাদানের সময়ও ষড়যন্ত্র হয়েছিল : কাদের সিদ্দিকী
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্ত্র জমা নিতে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনীর মাঠে এসেছিলেন। সে দিনও ষড়যন্ত্র হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি আসে নাই, হোম মিনিস্টার আসে নাই, আইজিপি আসে নাই। আমরা নাকি বঙ্গবন্ধুকে আটকাইয়া ক্ষমতা নিয়া যামুগা। ক্ষমতা কোথায় থাকে সেটাই আমি চিনি না। নিমু কেমনে। কত কোটি কোটি টাকার এডাওডা বানান। আর আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে এত অস্ত্র জমা দিলাম, তার একটা চিহ্ন রাখলেন না। দেশে এত জায়গার অভাব হইছে যে, টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে কয়েকবার এসেছেন বঙ্গবন্ধু। চারদিকে পাকা দালান কোটা বানালেন। তার একটা স্মৃতি চিহ্ন রাখলেন না। যার অর্ধেক কুকর্ম হইছে, এই আওয়ামী লীগের ১৩/১৪ বছরের আমলে।’
বঙ্গবীর দুঃখ করে বলেন, অস্ত্র জমাদানের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের মঞ্চে টাঙ্গাইলের জেলা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা ও আটজন এমপির একজনও আসতে পারলেন না। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতা আসতে পারেন, আর টাঙ্গাইলের নেতারা আসতে পারেন না। এটা দুঃখজনক।
টাঙ্গাইলে কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র জমাদানের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ৭১-এর কাদেরিয়া বাহিনীর বেসামরিক প্রশাসক এ এম এনায়েত করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রী কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন, কবি বুলবুল খান মাহবুব, কবি আল মুজাহিদী, আবুল কালাম আজাদ বীর প্রতিক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।