‘মহামারী’রূপ নিয়েছে, ই–সিগারেট নিষিদ্ধ করছে অস্ট্রেলিয়া
সহজলভ্যতার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় ই-সিগারেট ‘মহামারী’রূপ নিয়েছে বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই ভ্যাপিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।
অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার বলেছেন, এই পণ্যগুলো অস্ট্রেলিয়ায় নিকোটিনে আসক্তদের একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি করছে।
অস্ট্রেলিয়ায় ওষুধের দোকানে নিকোটিন ভ্যাপ পাওয়া যায়। কখনও কখনও চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকেরা ব্যবস্থাপত্রে ভ্যাপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর সুযোগ নিয়ে এখন ভ্যাপ কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে দেশটিতে ই-সিগারেটের ন্যূনতম মানও চালু করা হবে। এছাড়া ফার্মেসিতে ই-সিগারেট বিক্রির ওপর বিধিনিষেধও জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক সংস্কার ঘোষণায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার বলেছেন, এটি ধূমপানের মতোই একটি আসক্তিমূলক পণ্য। চকচকে প্যাকেটে মোড়া এই ভ্যাপ নতুন প্রজন্মকে নিকোটিনে আসক্ত করতে মিষ্টি স্বাদ যোগ করেছে। এটা একধরনের প্রতারণা।
গবেষণার তথ্য বলছে, অস্ট্রেলিয়ার ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের প্রতি ছয়জনে একজন ভ্যাপ নেয় এবং ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের প্রতি চারজনে একজন ভ্যাপ নেন।
৫২ বছর বয়সী স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার বলেছেন, তার বয়সী ৭০ জনের মধ্যে ১ জন ভ্যাপ নেন। এই পণ্যগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে এবং খুচরা দোকানে ‘ললি ও চকলেটবারের পাশাপাশি’ সহজেই পাওয়া যায়। হাইস্কুলে ভ্যাপিং ‘এক নম্বর আচরণগত সমস্যা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে কেউ কেউ বাথরুমে ভ্যাপ ডিটেক্টর বসাতে শুরু করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ই-সিগারেট রাখার জন্য সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়ে ফেডারেল সরকার রাজ্য ও আঞ্চলিক সরকারের সঙ্গে কাজ করবে।
অস্ট্রেলিয়ায় ইতিমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ধূমপানবিরোধী আইন রয়েছে। নতুন সংস্কারের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য ভ্যাপ নিষিদ্ধ ও ব্যবস্থাপত্রবহির্ভূত পণ্য আমদানির ওপর কঠোর বিধিনিষেধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাপে বাবল-গাম ফ্লেভার দেওয়া যাবে না। এছাড়া গোলাপি ইউনিকর্ন বা শিশুদের জন্য হাইলাইটার কলমের মতো তৈরি করা যাবে না।
এর আগে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ ভ্যাপিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি