মেসি-এমবাপ্পেদের বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন

অনলাইন ডেস্ক

নেইমারের অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পে, লিওনেল মেসিদের কাঁধে। দুয়েকবার ঝলক দেখালেও দলের প্রয়োজনের সময় এগিয়ে আসতে পারলেন না দুই তারকা। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের আবার হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে পৌঁছে গেল বায়ার্ন মিউনিখ।

ঘরের মাঠে বুধবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ২-০ গোলে জিতেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। পিএসজির মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল তারা।

আরও একবার ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে শূন্য হাতে ফিরল পিএসজি। ঘরের মাঠে প্রথম লেগে হেরে কাজটা হয়ে পড়েছিল ভীষণ কঠিন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা বায়ার্নের মাঠে জয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে পারল না তারা। ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছে গেল বায়ার্ন।
সেখানে তাদের সঙ্গী হয়েছে এসি মিলান। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জেতা ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা এবার গোলশূন্য ড্র করেছে টটেনহ্যাম হটস্পারের মাঠে। ১-০ গোলের অগ্রগামিতায় লম্বা সময় পর শেষ আটে খেলবে তারা।

দ্বিতীয় মিনিটে গোলের জন্য প্রথম সুযোগ তৈরি করে পিএসজি। এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সমের। ১৯তম মিনিটে আবার সুযোগ পান এমবাপ্পে, এবার তিনি মারেন বাইরে।

ছয় মিনিট পর ডি বক্সে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান মেসি। তার তিনটি শট জটলার মধ্য থেকে ফিরিয়ে দেন বায়ার্নের কেউ না কেউ। শেষ পর্যন্ত গ্লাভসে নিতে পারেন সমের।

৩২তম মিনিটে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগ পায় বায়ার্ন। জামাল মুসিয়ালার শটে ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।

ছয় মিনিট পর আশরাফ হাকিমির চ্যালেঞ্জের মুখে সমের তালগোল পাকালে পেয়ে যান ভিতিনিয়া। কিন্তু দুর্বল শটে ফাঁকা জালে বল পাঠাতে পারেননি তিনি। দারুণ স্লাইডে গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন মাটাইস ডি লিখট।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং। ৫২তম মিনিটে বল জালে পাঠান তিনি। কিন্তু অফসাইডের জন্য গোল মেলেনি।

পিএসজির রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করা বায়ার্ন এগিয়ে যায় ৬১তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধে মার্কো ভেরাত্তি বল হারালে পেয়ে যান লেয়ন গোরেটস্কা। সুযোগ থাকলেও নিজে শট না নিয়ে তিনি খুঁজে নেন অরক্ষিত চুপো-মোটিংকে। বাকিটা অনায়াসে সারেন পিএসজির সাবেক এই ফরোয়ার্ড।

তিনি মিনিট পর সের্হিও রামোসের হেড ঝাঁপিয়ে ফেরান বায়ার্ন গোলরক্ষক।

প্রতি আক্রমণ থেকে বায়ার্নের সামনে আসতে থাকে একের পর এক সুযোগ। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারছিলেন না স্বাগতিক ফরোয়ার্ডরা। তাতে টিকে থাকছিল পিএসজির আশা। তবে ম্যাচে ফিরতে প্রয়োজন ছিল দুটি গোলের। এমবাপ্পে-মেসিরা করতে পারেননি একটিও।

৮২তম মিনিটে গোলের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রামোস। তবে অভিজ্ঞ এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার একটুর জন্য হেড রাখতে পারেননি লক্ষ্যে।

৮৯তম মিনিটে পিএসজির ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ করে দেন সের্গে জিনাব্রি। প্রতি আক্রমণে জোয়াও কানসেলোর কাছ থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।

যোগ করা সময়ে জালে বল পাঠান সাদিও মানে। তবে অফসাইডের জন্য মেলেনি গোল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights