যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগেই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মৃত্যু হলে কী ঘটে

অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে নিরাপত্তা বাহিনী তাকে দ্রুত মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেয়। এ সময় ট্রাম্প আঘাত পেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। যদিও তার প্রচার শিবির জানিয়েছে, তিনি (ট্রাম্প) অক্ষত আছেন।

এই ঘটনার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) জানিয়েছে, হামলাকারী সন্দেহভাজন বন্দুকধারী টমাস মেথিউ ক্রুকস (২০) নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে।
নির্বাচনী সহিংসতা অতীতেও হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী সমাবেশে সহিংসতার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ১৯১২ সালে টেডি রুজভেল্ট বক্তৃতার সময় গুলিবিদ্ধ হন এবং বেঁচে যান। ১৯৬৮ সালে রবার্ট এফ. কেনেডি নির্বাচনী সমাবেশে মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ হন। আধুনিক যুগেও ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছে। ২০১৭ সালে আসিয়ান সম্মেলনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইএসের একটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছিল।

নির্বাচনের আগেই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মৃত্যু হলে যা ঘটে
ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, যদি একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দায়িত্ব গ্রহণের আগে নিহত হন বা অক্ষম প্রমাণিত হন, তাহলে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে তা সময়ের ওপর নির্ভর করে। নির্বাচনের আগে বা ইলেকটোরাল কলেজের ভোটের আগে প্রার্থী মারা গেলে বা অক্ষম হলে, নির্বাচকেরা নিজ দলের মাধ্যমে বিকল্প প্রার্থী বাছাই করতে পারেন। যদি ইলেকটোরাল কলেজের ভোটের পর হয় কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের আগেই নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিহত হন বা অক্ষম প্রমাণিত হন, তাহলে ভাইস প্রেসিডেন্ট পরবর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights