রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন হামলায় বিদ্যুৎহীন ইউক্রেনের অসংখ্য এলাকা
রাশিয়া এবার এক হামলাতেই ব্যবহার করেছে রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন। ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত রুশ বাহিনী মোট ১৮৮টি বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এই ড্রোন হামলায় রাজধানী কিয়েভ ও সংলগ্ন শহর তেরনোপিল ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, নিক্ষিপ্ত ড্রোনগুলোর মধ্যে ৭৬টিকে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে। ৯৬টি ড্রোনকে দিকভ্রান্ত করা গেলেও ১৬টি ড্রোন নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এতে কিয়েভ ও তেরনোপিলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, আবাসিক ভবন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
রাশিয়া এই হামলায় ‘সুইসাইড’ ও ‘ডিকয়’ ধরনের সস্তা ড্রোন ব্যবহার করেছে, যা বিস্ফোরণ ঘটাতে নিজেই ধ্বংস হয়ে যায়। যুদ্ধের তিন বছরের মধ্যে এত বড় ড্রোন হামলার নজির আগে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী।
ইউক্রেনজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা মেরামতে কাজ করছে প্রকৌশলীদের বিশেষ দল। পশ্চিম ইউক্রেনের বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ইউক্রেনের্গো জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। হাসপাতাল, স্কুল, এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে জেনারেটরের সাহায্যে কাজ চালানো হচ্ছে। পরিবহন ব্যবস্থা চালু রাখতে বৈদ্যুতিক বাসের পরিবর্তে জ্বালানি চালিত বাস ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর ভাষায়, এই হামলার কারণে আমাদের জন্য বড় ভোগান্তি অপেক্ষা করছে। অবকাঠামোর যে ক্ষতি হয়েছে, তা দ্রুত মেরামত সম্ভব নয়।
রাশিয়ার এই হামলা শুধু ইউক্রেনের অবকাঠামো নয়, মানুষের দৈনন্দিন জীবনকেও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল ও উদ্বেগজনক আকার ধারণ করছে।