লম্বা ছুটি শেষেও স্বরূপে ফেরেনি ঢাকা, রাস্তায় চলাচলে স্বস্তি

পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘিরে প্রায় এক সপ্তাহের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) পুরোদমে চলেছে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস। তবে এখনো স্বরূপে ফেরেনি রাজধানী। রাস্তায় চিরচেনা যানজট নেই। স্বস্তিতে চলাচল করছে মানুষ। অধিকাংশ মার্কেট খুললেও নেই কেনাবেচা। অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। ফুটপাত, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে সবখানেই মানুষের সমাগম কম। তবে রেলওয়ে স্টেশন ও বাস টার্মিনালে গ্রাম থেকে ফেরা মানুষের স্রোত দেখা গেছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, শ্যামলী, আগারগাঁও, মহাখালী, গুলশান, বাড্ডা, নতুনবাজার, রামপুরা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

পরিবহন শ্রমিকরা জানান, ঢাকার রাস্তা আজও ফাঁকা। তবে যাত্রী ছিল অনেক। রাস্তা ফাঁকা থাকায় দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে।

লম্বা ছুটি শেষেও স্বরূপে ফেরেনি ঢাকা, রাস্তায় চলাচলে স্বস্তি

সাভার থেকে নতুনবাজার পর্যন্ত চলাচল করা বৈশাখী পরিবহনের চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাস্তা ফাঁকা থাকলেও যাত্রী একেবারে খারাপ নয়। তবে কাল (মঙ্গলবার) থেকে জ্যাম বাড়বে।

ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে মিরপুরের কালশি পর্যন্ত চলাচল করে আলিফ পরিবহন। এ বাসের সহকারী (হেলপার) মিজানুর বলেন, আজ অফিস খোলা থাকলেও অফিসে যাতায়াত করা যাত্রী খুব একটা পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ যাত্রীই গ্রাম থেকে আসা। তারা ঢাকার বাসায় ফিরছে। আগামীকাল হয়তো চাপ বাড়তে পারে।

মহাখালী বাস টার্মিনালে নেমে রেলগেট থেকে রবরব পরিবহনে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে এসেছেন আব্দুল আলিম।

লম্বা ছুটি শেষেও স্বরূপে ফেরেনি ঢাকা, রাস্তায় চলাচলে স্বস্তি

তিনি বলেন, সাতদিনের ছুটি ছিল। আজ গ্রাম থেকে ফিরলাম। মহাখালী থেকে মাত্র ১৩-১৪ মিনিটেই বাড্ডা চলে এলাম। রাস্তা একেবারে ফাঁকা।

এদিকে ফুটপাত ও কাঁচাবাজারেও মানুষের সমাগম খুব কম। মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজারে দীর্ঘদিন সবজি বিক্রি করেন সাজ্জাদ হোসেন। তিনি জানান, স্বাভাবিক সময়ে দিনে ৩০-৩৫ কেজি বেগুন বিক্রি করেন তিনি। ঈদের পর শনিবার থেকে দোকান খুলেছেন। ওইদিন আড়ত থেকে ২০ কেজি বেগুন আনলেও এখনো সব বিক্রি করতে পারেননি।

একই বাজারের মুদি দোকানি আলমগীর বিশ্বাস বলেন, দোকানে ক্রেতাই আসছে না এখনো। ছুটি শেষে গ্রাম থেকে অনেকে এলেও বাজার-সদাই শুরু করেনি অধিকাংশ মানুষ। দু-একদিন পর থেকে কেনাবেচা বাড়তে পারে।

অন্যদিকে মার্কেটগুলোতেও অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। রাজধানীর উত্তর বাড্ডার হল্যান্ড শপিং সেন্টার, শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজর ভ্যালি, উত্তর বাড্ডা বাজার, মধ্যবাড্ডার লুৎফুন টাওয়ার ঘুরে ক্রেতাশূন্য দেখা গেছে। ব্যস্ত শপিংমল হিসেবে পরিচিত যমুনা ফিউচার পার্কও প্রায় ফাঁকা।

লম্বা ছুটি শেষেও স্বরূপে ফেরেনি ঢাকা, রাস্তায় চলাচলে স্বস্তি

হল্যান্ড শপিং সেন্টারের মোল্লা মোবাইল সার্ভিসিং পয়েন্টের মালিক শওকত মোল্লা বলেন, আজকে সারাদিনে মাত্র চারজন কাস্টমার এসেছেন। মার্কেটে লোকজনই নেই। আরও কয়েকদিন গেলে স্বাভাবিক হবে হয়তো।

Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
যমুনা ফিউচার পার্কের কয়েকটি ব্র্যান্ডের আউটলেট ঘুরেও ক্রেতাশূন্য দেখা গেছে। পোশাকের ব্র্যান্ড জ্যোতির বিক্রয়কর্মী সানজানা ফেরদৌস বলেন, ছুটি শেষে আজই প্রথম কাজে এসেছি। তেমন ক্রেতা নেই। বিয়ের কসটিউম কেনার জন্য কিছু ক্রেতা আসছেন। তবে বিক্রি খুবই কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights