সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি, নদীতে ভাসছে ৪ মৃত হরিণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা সুন্দরবনসহ বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়ার সাথে সাথে দিনভর বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
রবিবার বিকাল থেকে একটানা ২০ ঘণ্টা ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব ও জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বন বিভাগের বিভিন্ন বন অফিসসহ টহলবোট, টিনের চালা, জানালা-দরজা, সোলার প্যানেল ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রেমালের তাণ্ডব চলাকালে জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে কটকা অভয়াণ্যে অফিস ঘাটের জেটি ও পুকুর বঙ্গোপসাগর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। দুবলা, কটকা, কোচিখালি, বগিসহ বিভিন্ন বন অফিসসহ বিভিন্ন টহলফাঁড়ির রান্নাঘরসহ অবকাঠামোর টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
সুন্দরনে অভ্যন্তরে মিঠাপানির পুকুরগুলোও জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। একমাত্র মিঠাপানির উৎস সব পুকুর ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে যাওযায় বনকর্মীদের পাশাশাশি বাঘ, হরিনসহ বন্যপ্রাণীরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে। সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে ভেসে গিয়ে মারা যাওয়ারও খবর মিলেছে।
সোমবার সকালে সুন্দরবন সংলগ্ন রায়েন্দা বেড়িবাধ এলাকায় বলেশ্বর নদ থেকে স্থানীয়রা ৩টি মৃত হরিণ ভেসে যেতে দেখেছেন। সুন্দরবনের দুবলার মাঝের কেল্লা সাইক্লোন সেল্টার এলাকায় সাগরে একটি মৃত হরিণ ভাসতে দেখা যায় বলে সোমবার বিকেলে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলে আলাল মিয়া। প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকায় মৃত ওই ৪টি হরিণ উদ্ধার করতে পারেনি তারা।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহম্মদ নূরুল করিম জানান, আবহওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের গাছপালাসহ কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানানো সম্ভব নয়।