সৈয়দপুরে মৌসুমী কুল বাজারে জমজমাট বেচাকেনা

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিশাল কুলের বাজার গড়ে উঠেছে। ডালি, কার্টন আর টুকরিতে থরে থরে সাজানো বিভিন্ন জাতের কুল। দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা এসে নিয়ে যাচ্ছেন ওই কুলগুলো। বেশ জমজমাট বাজারটি। প্রায় প্রতিদিনই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। শহরের আড়তগুলোতেও আসছে বিভিন্ন জাতের কুল। বিশেষ করে বউ সুন্দরী, সুর্যমূখী, বাউকুল, আপেলকুল, নারিকেল, কাশমিরি কুলে ভরা চারদিক।

পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের পার্বতীপুর, খানসামা, চিরিরবন্দর, রংপুরের তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, বগুড়ার সান্তাহার, পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোরসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে এসব। নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও পার্বতীপুরসহ রংপুর বিভাগের অন্যতম ব্যবসার কেন্দ্রস্থল হচ্ছে সৈয়দপুর। আর এ কারণেই ওইসব এলাকার কুল চাষি বা ব্যবসায়ীরা সঠিক দাম পেতে এবং অল্প সময়ে বিক্রির জন্য ট্রাক, পিকআপ, নছিমন, রিকশা-ভ্যান ও ট্রেনে কুল নিয়ে আসছেন সৈয়দপুরে।

প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চলছে কুলের কেনাবেচা। আশপাশের চাষিরা কুল আনছেন ভ্যান, পিকআপে করে। প্রতিদিন প্রচুর কেনাবেচা হয় সৈয়দপুরের মৌসুমী ওই কুল আড়তে। শহরের ১নং রেলঘুমটির পাশেই গড়ে ওঠা ওই বাজারে গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলনামূলক বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। কুলের প্রকার ভেদে নির্ধারণ করা হচ্ছে দাম। ভালো জাতের কুল বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ২ হাজার ২শ থেকে ২ হাজার ৬শ টাকা পাইকারী দরে। এখানে সর্বনিম্ন ১ হজার ৪শ থেকে ২ হাজার ৮শ টাকা মন পর্যন্ত পাইকারী পাওয়া যাচ্ছে। আর খুচরা বিক্রেতারা সেই কার্টুন বা ঝুড়ির কুল বিক্রি করছেন গড়ে প্রতিকেজি ৮০ থেকে ১৫০ টাকায়।
সৈয়দপুর শহরের খুচরা বাজারগুলোও অন্যান্য নিয়মিত ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের কুল-বড়ই দিয়ে ভরে গেছে।সব দোকানেই নানা জাতের কুলের ব্যাপক সমারোহ। সেইসাথে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা পাড়া মহল্লাসহ রাস্তায় ফেরি করে বাউ ও আপেল কুল বিক্রি করছেন। এতে ক্রেতারা হাতের নাগালেই মৌসুমী এই ফল পেয়ে রসাস্বাদন করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights