সোনাগাজীর উপকূলীয় অঞ্চল অরক্ষিত, ৫১ বছরেও হয়নি আউটার বেড়িবাঁধ
ফেনী প্রতিনিধি
আকাশে কালো মেঘ ও সাগরের নিম্নচাপ দেখলেই ফেনীর সোনাগাজীর উপকূলবাসীর বুক ভয়ে কেঁপে উঠে। বেড়িবাঁধ না থাকায় গোটা উপকূলীয় এলাকা রয়েছে অরক্ষিত অবস্থায়। ফেনীর সোনাগাজীর বড় ফেনী নদী ও ছোট ফেনী নদীর কূলে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার অংশে নেই কোনো বেড়িবাঁধ। বেড়িবাঁধ না থাকায় নদীতে জোয়ার সৃষ্টির ফলে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় এসব এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলের খেত ও মৎস্য ঘের।
স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলেও সোনাগাজীর উপকূলে নির্মাণ হয়নি একটিও টেকসই বাঁধ। বাঁধ না থাকায় প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলবাসীদের হয় অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি। ভরা পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় সাগর ও নদ-নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। তখন সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয় উপকূলীয় এলাকা।
সোনাগাজীর সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা চরদরবেশ, চরচান্দিয়া ও সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোকে সামুদ্রিক জলোচ্ছাস থেকে রক্ষা করার জন্য কোনো প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ নেই।
সোনাগাজী পৌর এলাকার চরগনেশ গ্রামের মৎস খামারি শেখ ইকবাল হোসেন জানান, উপকূলীয় এ উপজেলায় বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে গত বছর সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের সময় তার মৎস প্রকল্পের তিনটি পুকুরের পাড় ভেঙ্গে যায়। এতে তার প্রায় সত্তর লাখ টাকার মাছ জোয়ারের পানির সাথে ভেসে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান বলেন, আউটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এটি মিরসরাই ইকোনমিক জোনে ভেজার সুপার ডাইক এর মতো হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, সোনাগাজী একটি উপকূলীয় এলাকা। এখানকার উপকূলীয় মানুষের জন্য আউটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ খুব জরুরী। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক স্যার অবগত আছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আশাকরি শিগগিরই ভালো ফলাফল পাব।