কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত ইমরানের পরিচয়পত্র পেশ

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কলম্বিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো ফ্রান্সিসকো পেট্রো উরেগো’র কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।

রাষ্ট্রদূত ইমরান একইসাথে কলম্বিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে গত ৮ নভেম্বর এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ইমরান কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তার এই পরিচয়পত্র পেশ করেন।
প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানায়। পরে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো ফ্রান্সিসকো পেট্রো উরেগোর সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো জেকোয় জি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশকালে রাষ্ট্রদূত তার কাছে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট তার দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আগামী দিনে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট তার সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনে সবধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতায় আগ্রহ

পরে রাষ্ট্রদূত ইমরান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া, আফ্রিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলের পরিচালক নেলসি রাকেল মুনার জারামিলো এবং পররাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমন্বয়কারী কার্লোস এ ফরেরোর সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত ইমরান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে অর্জিত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।

নেলসি রাকেল বাংলাদেশ ও কলম্বিয়ার মধ্যে তৈরি পোশাক এবং ওষুধ শিল্প খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আয়োজনে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করার বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights