কমছে তিস্তা, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানি, ভাঙন আতঙ্ক
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার তিস্তা, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে এই এলাকার প্লাবিত নিম্নাঞ্চল জেগে উঠছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও নদী তীরবর্তী মানুষ ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে। এদিকে, করতোয়ার পানি ৩১ সেমি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
রবিবার বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়া নদীর পানি ৩১ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১১২ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে, তিস্তার পানি ৩০ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ২৭ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, ঘাঘট নদীর পানি ২২ সেমি হ্রাস পেয়ে ১৪৬ সেমি ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৩১ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ১১৪ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। কিন্তু গত শনিবার থেকে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি কমতে থাকে। এরপর রবিবার থেকে ঘাঘটের পানিও কমতে শুরু করে। এতে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল জেগে উঠলেও নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে ভাঙনের আতঙ্ক রয়ে গেছে।
এদিকে, করতোয়া নদীর পানি বাড়ছে। ফলে নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ।
গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলের বেশ কিছু স্থান প্লাবিত হলেও তা কমতে শুরু করেছে। তবে করতোয়ার পানিবৃদ্ধির ফলে স্থানীয়দের মাঝে বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কিছু সংখ্যক ঘরবাড়িতে পানি জমতে শুরু করেছে। সেই সাথে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষ গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়ছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, গাইবান্ধার তিস্তা, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করেছে। তবে করতোয়ার পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।