দিনাজপুরে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ি-ঘর জবরদখলের অভিযোগ
আব্দুস সালাম দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র রামনগর এলাকায় একজন ব্যবসায়ীর বাড়ি-ঘর সন্ত্রাসী কায়দায় জবরদখলের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের আইন ও বিচার বিভাগের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী মোঃ নুর নবিন (রবিন)।
অভিযোগ তিনি জানান, গত ০৫ আগষ্ট-২০২৪ ইং তারিখে ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থান এর পর দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পট পরিবর্তনের পর কিছু সুযোগ সন্ধানি চক্র এবং সন্ত্রাসীদের দ্বারা আমার ক্রয়কৃত সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি, বসত বাড়ী যার দলিল নং- ৮১১৮, নামজারী নং- ৪৭৩৩, দাগ নং- ২১২০, হোল্ডিং ট্যাক্স নং- ২৭০৮, বৈদ্যুতিক মিটার নং- ৬১১৮৮৮ (সিঙ্গেল ফেইস), সরকারী ট্যাক্স ফাইল নং- ৩৪৬/৩ এবং চৌহদ্দিতে স্পষ্ট উল্লেখিত বিবরণ অনুযায়ী সামনের দিকে তিন শতক যা রেকর্ডিয় রাস্তা সংলগ্ন উত্তর দক্ষিণে লম্বা যাতে আমার নির্মাণকৃত ৩টি পাকা টিনসেট ঘর সহ টয়লেট, কলপাড় ও একটি রান্নাঘর রয়েছে। গত ৫ আগস্ট-২০২৪ প্রশাসন শূণ্য ও দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রামনগর সূর্যশিখা অফিসের পাশের আনসার কসাই এর ছেলে বিগত সরকারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোঃ নুরুল ইসলাম একই এলাকার কাদের এর ছেলে তার সহযোগী মোঃ ওয়াহেদ সাদিক তুহিন, ওমর ফারুক এর ছেলে মোঃ সাইমন, আনসার কসাই এর মেয়ে নাছিমা আক্তারসহ আরোও ৩০-৪০ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা হেলমেট, মাস্ক, দেশীয় অস্ত্র এবং রিভলবার সহ নুর ইসলাম এবং তুহিনের নেতৃত্বে যুবদলের নাম ভাঙ্গিয়ে রাত আনুমানিক ৮.৩০ টায় আমার বাড়িতে হামলা করে ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাড়ি খালি না করলে অস্ত্র এবং পিস্তল দেখিয়ে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে। অতঃপর ০৬ আগষ্ট সকালে আনুমানিক সকাল ৮ টার সময় নুর ইসলাম তার কোমর হইতে পিস্তল বের করে কেউ যদি বাঁধা প্রদান করতে আসে সেক্ষেত্রে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভাড়াটিয়াকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করে আশপাশের এলাকাবাসীকেও হুমকি প্রদান করে। উক্ত সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়িটি দখল করে আজ পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য তাদের ভাড়াটিয়া বসিয়ে সন্ত্রাসী দ্বারা বাড়িটি পাহাড়ারত অবস্থায় জোর পূর্বক নিজ দখলে রেখেছেন। উক্ত সন্ত্রাসীদের মূলহোতা নুরুল ইসলাম যে নিজেকে এলাকায় সাবেক এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী ইঞ্জিঃ খন্দকার মোশাররফ হোসেন এর ঘনিষ্ঠ সহযোগি ও ফরিদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হোসেন রুবেল এর ঘনিষ্ট আপনজন পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, দখল ও নানারকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসিতেছিলো যা এখনো চলমান ও তার আরেক সহযোগী মোঃ ওয়াহেদ সাদিক তুহিন যে নিজেকে ঘটনাস্থলে একটি রাজনৈতিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় প্রদান করে এবং এ বাড়িটি দখল করতে আসলে একজন শিক্ষক মোঃ কাবুল হোসেন (দিনাজপুর সরকারি কলেজ) বাঁধা প্রদান করলে তাকে ঘটনাস্থলে যুবদলের নেতা পরিচয় দিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং বর্তমানে কেউ এ কাজে বাঁধা প্রদান করার ক্ষমতা রাখে না বলে দাবি করে।
সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তগণের বিপক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিজের ক্রয়কৃত সম্পত্তির মধ্যে অবস্থিত বাড়িটি পূণরায় ফিরে পেতে প্রসাশনের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন ভূক্তভোগী নুর নবিন রবিন।