পাহাড়ের সেই দুই তরুণের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

অনলাইন ডেস্ক

শৈশবেই মাকে হারিয়েছেন খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলার শিলাছড়ি গ্রামের সজীব কান্তি চাকমা। বড় হয়েছেন দাদু-দাদির কাছে। চেয়েছেন যত কষ্টই হোক, পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন। তাই স্কুলের ফাঁকে কখনো রাজমিস্ত্রির জোগালি, কখনো কারখানায় কাজ করেছেন। মাটিও কাটতে হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কাজও করেছেন। এভাবে অভাবের সঙ্গে লড়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এসেছেন। ভর্তি হয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে। গত ৯ নভেম্বর তার জীবন সংগ্রামের গল্প ছাপা হয়েছিল কালের কণ্ঠ’র প্রথম পৃষ্ঠায় ‘অন্য জীবন’ বিভাগে। শিরোনাম, ‘বাধার পর্বত পেরোলেন পাহাড়ের সজীব’।

রাঙামাটির রাজস্থলীর দুর্গম বিমাছড়ার পাড়ার সত্য কুমার তঞ্চঙ্গ্যাও উঠে এসেছেন দারিদ্র্যের বাধা পেরিয়ে। নিজেদের জমি নেই। বাবা বর্গাচাষি। স্কুলের ফাঁকে বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ করতেন। এভাবে নানা বাধার পাহাড় ঠেলে এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন সত্য কুমার। ২৯ অক্টোবর তার জীবন সংগ্রামের গল্প ছাপা হয়েছিল কালের কণ্ঠ’র ‘অবসরে’ পাতায়। শিরোনাম, ‘এত টাকা দিতে পারব নারে বাপ’।

বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেও সামনে পড়াশোনার খরচ কীভাবে চালাবেন, সেই চিন্তায় ছিলেন পাহাড়ের এই দুই তরুণ। তাদের সেই দুশ্চিন্তা দূর করতে এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন দু’জনের পড়াশোনার ব্যয় বহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
এই দুই তরুণকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রধান ইমদাদুল হক মিলন।

তিনি বলেন, পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই দুই তরুণের পাশে থাকবে বসুন্ধরা শুভসংঘ। আশা করছি, এবার তারা মন দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে।

সংগঠনটির পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, এই দুই তরুণের পাশে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত।

এ প্রসঙ্গে সজীব কান্তি চাকমা বলেন, আর্থিক বাধা কেটে যাওয়ায় আমাদের স্বপ্নেরা এখন ডানা মেলবে। বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। কালের কণ্ঠকেও ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights