১১ জনই বল করলেন, টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড!
অনলাইন ডেস্ক
দলের প্রয়োজনে অনেক সময় অনেককেই হাত ঘোরাতে হয়। তবে দিল্লি দেখাল ভিন্ন কিছু। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন কিছু আগে দেখা যায়নি। মণিপুরের বিপক্ষে বোলার হয়ে গেলেন দিল্লির সব ক্রিকেটার, ১১ জনই বল করলেন। তাতে গড়া হয়ে গেল অনন্য এক কীর্তি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নজিরবিহীন এই ঘটনাই ঘটেছে আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। ভারতের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে মণিপুরের বিপক্ষে দলের ১১ জনকে দিয়েই বোলিং করিয়েছে দিল্লি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন ঘটনা এই প্রথম।
এর আগে ২০ ওভারের ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯ জন বোলার ব্যবহারের ঘটনা দেখা গেছে বেশ কয়েকবার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেই (বিপিএল) এমন কিছু ঘটেছে ৪ বার।
দিল্লির নিয়মিত বোলারাই বোলিং শুরু করেন এবং প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন। এমন নয় যে, সব বোলারের বোলিং করা খুব জরুরি ছিল। দুর্বল মণিপুরকে চাপে দেখেই হয়তো একটু বাড়তি রোমাঞ্চের পথ বেছে নেন অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি।
দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়ে এ দিন চার অভিষিক্তসহ একদম তরুণ দল নিয়ে মাঠে নামে দিল্লি।
দিল্লির কোনো বোলার চার ওভার বোলিং করেননি। তিন বোলার বোলিং করেন তিন ওভার করে, দুই ওভার করে তিন জন। বাকি পাঁচজন করেন এক ওভার করে।
স্বীকৃত ক্রিকেটে ১২৯তম ম্যাচে এসে প্রথমবার বোলিং করেন কিপার আনুজ রাওয়াত। তার এক ওভার থেকে আসে ১৪ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথমবার বোলিং করেন ইয়াশ ধুল ও আইপিএলের নিলামে ঝড় তোলা প্রিয়ান্শ আরিয়া। এছাড়াও এক ওভার করে বল করেন অভিষিক্ত আখিল চৌধুরি, আরিয়া রানা, আয়ুশ সিং ও দিগভেশ রাঠি।
মণিপুর অবশ্য তেমন কোনো জবাব দিতে পারেনি। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২০ রানেই আটকে যায় তারা। অনভিজ্ঞ একাদশ নিয়ে দিল্লির অবশ্য জিততে বেগ পেতে হয় ভালোই। ওপেন করতে নেমে ৫১ বলে ৫৯ রান করে দলকে জিতিয়ে ফেরেন ইয়াশ ধুল। ৯ বল বাকি রেখে ৪ উইকেটে জেতে দিল্লি।