অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাষ্ট্রকে আহতদের ও শহীদ পরিবারের বিষয় দেখতে হবে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
জুলাই বিপ্লবে আহত ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখতে হবে। তাদের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।
শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সন্তান ও অভিভাবকদের এক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। সম্মেলন শেষে জুলাই বিপ্লবে নিহত ও আহদের স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
সন্তান ও অভিভাবক ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশীদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সোহেল আহমেদসহ প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও অঙ্গ হারানো একাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
আনু মুহাম্মাদ বলেন, সরকার গঠনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি কাজে প্রাধান্য ছিল। ১. শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নেওয়া। ২. জিনিসপত্রের দাম কমানো, ৩. তৃতীয়ত, সমাজে যেন সহিংসতা ও অস্থিরতা তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা রাখা। এই তিনটি বিষয়েই আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা দেখতে পাচ্ছি। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, যারা আহত ছিলেন, পঙ্গু হাসপাতালের সামনে তাদেরকে রাস্তায় নেমে আসতে হলো। কয়েক মাসও হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশীদ বলেন, আমরা তালিকা নিখুঁত রাখার চেষ্টা করছি। তিন মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সহায়তা নিচ্ছেন। এখানে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। আমরা এ দেশের নাগরিক। আমাদের সবার অধিকার আছে, মাথা তুলে দাঁড়াবার৷ তোমরা আসো, আমি আমার মন্ত্রণালয় থেকে স্পেশাল কমিটি করব করব তোমাদের নিয়ে।
বিএনপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মইন খান বলেন, রাষ্ট্র কেন আহতদের দায়িত্ব নেবে না। এটা তো আমাদের বলার প্রয়োজন হয় না। আহতদের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে এবং অন্যদিকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে। তারা ইতোমধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। আমরা এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখি।