মানিকগঞ্জে কুকুরের কামড়ে আহত অর্ধশতাধিক
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জে কুকুরের কামড়ে একদিনেই অর্ধশতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। শহরের পশ্চিম সেওতা, জয়রা, বান্দুটিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের কামরে নারী পুরুষ, শিশুসহ ৭০ জন আহত হন। আহতরা মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।
পশ্চিম সেওতা এলাকার বিউটি বেগম (৩০) বলেন, সকালে হঠাৎ করে একটি কুকুর আমার পায়ে কামর দিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর পাশের বাড়ির রাসিয়া (৫৫) নামের আরেক নারীকে হাটুর উপরে কামরে ধরে। পরে দুজনেই সদর হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছি। সরেজমিনে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দেখা যায় কুকুর, বিড়াল, ইদুর ও শিয়ালের আক্রমণে আহতদের ভির।
চিকিৎসা নিতে আসা এক কৃষক বলেন, ভ্যাকসিন হাসপাতাল থেকে দিয়েছে তবে বাহির থেকে সিরিঞ্জ কিনতে হয়েছে। দাম বেশি না হলেও সিরিঞ্জ আনতে রাস্তা পার হয়ে আমাকে অনেক দূর যেতে হয়। ভোগান্তি দূর করতে হাসপাতাল থেকে সিরিঞ্জ দেওয়ার দাবি করেন তিনি।
হাসপাতালের ত্বত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন, বেলা বারটার মধ্যে ৭০ জন কুকুর-বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তিনি আরোও বলেন, ইতিপূর্বে একদিনে এতো লোক কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়নি। এই মৌসুমে কুকুর বিড়াল জাতীয় প্রাণী বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাই সকলকে সচেতন থাকতে হবে। আক্রান্ত হলে সাথে সাথে হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। একবার জলাতংক হয়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে ভ্যাকসিনের কোনো সংকট নেই। সাধারণত মাসে আমাদের ভ্যাকসিনে চাহিদা একহাজার থেকে পনেরশত। বাড়তি চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত আরো ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা করা হবে। সিরিঞ্জ না দেওয়ার বিষয়ে হাসপাতালের ত্বত্ত্বাবধায়ক বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার সিরিঞ্জ হাসপাতালে সরবরাহ হয় না। বাধ্য হয়ে রোগীকেই ব্যবস্থা করতে হয়।