হিজবুল্লাহর সাথে উত্তেজনা: ইসরায়েল কী যুদ্ধের পথে?

অনলাইন ডেস্ক
গাজায় যুদ্ধের তীব্রতা যত বাড়ছে, ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তেও উত্তেজনা বাড়ছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে লেবাননে অবস্থিত ইরানের প্রক্সি মিলিশিয়া হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে রকেট এবং ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলার ফলে হাজার হাজার একর জমি পুড়ে গেছে এবং ৭০ হাজার ইসরায়েলি এখনও ঘরে ফিরতে পারেনি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) পাল্টা আঘাত করেছে, যার ফলে দক্ষিণ লেবাননের ৯০ হাজার মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ৩ জুলাই এক প্রভাবশালী হিজবুল্লাহ নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এই হামলা পাল্টা-হামলা সরাসরি যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।

ইসরায়েলের জন্য হিজবুল্লাহর হুমকি নতুন কিছু নয়, তবে এই মুহূর্তে তা অনেক বেশি গুরুতর। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে, যা ইসরায়েলকে অসহনীয় অবস্থায় ফেলেছে। ইসরায়েলিরা তাদের সীমান্তে হিজবুল্লাহর উপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ।
২০০৬ সালে লেবাননে ইসরায়েল যে আক্রমণ চালিয়েছিল, তার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহকে সীমান্ত থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া। এখন, নতুন করে যুদ্ধ হলে, তার ধ্বংসযজ্ঞ গাজার পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বর্তমানে হিজবুল্লাহর অস্ত্রশস্ত্র অনেক শক্তিশালী। তাদের অস্ত্রাগারে ১ লাখ ৫০ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা তেল আবিবেও আঘাত হানতে পারে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের কথা বললেও, নতুন যুদ্ধে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে। দেউলিয়া লেবানন রাষ্ট্রটি ভেঙে পড়তে পারে, সৃষ্টি হতে পারে চরম বিশৃঙ্খলা। ইরান এবং তার প্রক্সিরা জড়িয়ে পড়লে, সংঘাত আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights