অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ; ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় প্রাণে রক্ষা সানাউল্লাহ’র
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:
সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ‘সীমা অক্সিজেন লিমিটেড’র সুপার ভাইজার মো. সানাউল্লাহ। বিস্ফোরণের কয়েক মিনিট আগেও তিনি কারখানার ভেরত অবস্থান করে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু আসরের আজান দেওয়ায় নামাজ পড়তে মসজিদের উদ্দেশে বের হন। কারখানা থেকে বের হয়ে গেইট পর্যন্ত যাওয়ার সাথে সাথে বিস্ফোরণে কেপে উঠে পুরো এলাকা। কারখানার ভেতর থাকা সবাই নিহত হন। কিন্তু সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হলেও প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে বসেই তিনি শোনান বেঁচে যাওয়ার গল্প।
সানাউল্লাহ বলেন, বিকেলে শুরু হওয়া শিফটে কর্মরত ছিলেন ৬ জন। আসরের আজাদ দেওয়ায় নামাজ পড়তে আমিসহ তিনজন বের হই। আমি গেইট পর্যন্ত যাওয়ার সাথে সাথে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এসময় আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি ২৫০ ফুট লম্ব অক্সিজেন প্ল্যান আকাশে উড়ছে। পরক্ষণেই পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। প্রায় ৩০ মিনিট পর অন্ধকার কেটে যায়। এখন আমার মনে হচ্ছে দ্বিতীয় জীবন পেয়েছি। বিস্ফোরণের সময় আমি কারখানায় ফেরত থাকলে অন্যদের সাথে আমিও মারা যেতাম।
একই ভাবে বেঁচে যাওয়ার গল্প বলছিলেন সীমা অক্সিজেন লাগোয়া এইচ স্টিলের কর্মচারী আবদুল মালেক। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি প্ল্যান্টের লাগোয়া তিন তলা ভবনে ঘুমাচ্ছিলাম। বিকট শব্দের পর আমার বুকে বড় একটা সিলিন্ডার এসে পড়ে। পরে ২৫ মিনিটেরও বেশি সময় অন্ধকারের মধ্যে পড়ে ছিলাম। কি ভাবে জীবন রক্ষা পেয়েছে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।